রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরে পেঁচা নেমে আসে সজনে গাছের ডালে,
ধানক্ষেতের পাশে।
নিঃশব্দ কুয়াশাঘেরা চরাচরে হালকা চাঁদের আলো অন্ধকার বাড়িয়ে দেয়-
সেই অলৌকিক অন্ধকারে পেঁচা রাত জেগে থাকে পাতাহীন ডালের ওপর।
ধান নয়, শিকারি চোখ খোঁজে অন্ধকারের আড়ালে থাকা অন্য কিছু
সেই সব অজ্ঞাতকুলশীল ইঁদুরের দল,
যারা
পাতালের রন্ধ্র থেকে মুখ বাড়ায়,
মুখে করে টেনে নিয়ে যেতে চায় সোনালি শস্যের অবশেষ
পাতালের অন্ধকারে।
নিশুতি পাড়া শীতল ঘুমে আচ্ছন্ন, প্রায় নিভে গেছে পুরনো টায়ারের আগুন;
স্বপ্ন দেখে শৈত্যপ্রবাহ পেরিয়ে সোনালি পাড় দেওয়া সবুজ দিনের।
সেই স্বপ্নে ঢুকতে চায় অন্ধকারের জীবেরা,
হাজারে হাজারে কেটে নিয়ে চলে যায় সম্পদের বাক্স-প্যাঁটরা সব কিছু!
কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রহরী দেখো বসে আছে একমনে, এক চোখে-
নিস্তব্ধ হাওয়ায় ভেসে আসে শত্রুর গন্ধ,
অন্ধকারে ঢাকা প্রতিপক্ষের অস্তিত্বের সন্ধান।
আকাশ কালো? নাকি ধূসর?
নাকি সব রঙ মিশিয়ে বানানো কোনও স্বপ্নহীন বর্ণ?
সেই স্বপ্নহীন আকাশের নীচে, সোনালি স্বপ্নের প্রহরী
পেঁচা রাত জাগে।