অন্তর্জলি
আহ্! বিষাদ আনন্দস্বরূপ হয়ে এসো তুমি, অনিন্দ্যসুন্দর রূপময়।
গ্লানিহীন, অভিসম্পাতহীন সময় ছুঁয়ে প্রখর ঔদার্যে মেলে দাও তোমার প্রশস্ত হৃদয়।
তোমাকে ছুঁয়ে বেঁচে থাকুক তাবৎ বনস্থলী, পর্বত,নদী।
জেগে উঠুক ঘুমভাঙা কৃষ্ণচূড়া অরণ্য, ছায়াগাছের তলে ঝরে পড়া পাপড়িগুলো উদভ্রান্ত বাতাসে উড়ে যাক।
মনে রাখা খেলা বিস্মৃতির চেয়ে হননকারী জেনেও
একটি পাথর আজ ডানা মেলেছে পাখির মতো।
একটি পাথর, পাথরকে ভালোবেসে আকাশ ছুঁয়েছে
অনিত্য
সব কথা বলা হয়ে গেছে বুঝি,
দখিন দুয়ার ঘুরে এলে পাড়ার বখাটে ছেলেটাকেও ভালো লাগে, ভালো লাগে জল ডাহুকের সংসার...
সব রাগ গলে জল হয়ে প্রতিবেশী সখ্যতায় বেড়ে ওঠে অসংখ্য আমলকি চারা।
ধুলোমাখা দীপদান ধুয়েমুছে ফের জ্বলে ওঠে আলো,
বলে যাও বাকি কথা, এক্ষুনি বলে দেওয়া ভালো
নির্বাক
দেশটা গড়িয়ে যাচ্ছে
সাথে তুমি আমি সবাই
গড়ানো পাথরের যেমন ঘর্ঘর শব্দ ওঠে
অপ্রতুল শ্বাসকষ্টে বুকের ভিতর হাপরের বাতাস টানার শব্দ,
ঠিক সেইভাবে গোঙাচ্ছে আমাদের দেশ
লাল লাল ডেঁয়ো পিপড়ের মত খুবলে নিচ্ছে
সারাংশ
দেশটা গড়িয়ে পড়ছে অস্তগামী সূর্যের ম্লান আলোর মত
সেই আঁকাবাঁকা আলোর রশ্মি যেন মায়ের চোখের নীচে শুকিয়ে যাওয়া জলের করুণ নিষ্পাপ দাগ।
কারুচিত্রণ
যাবতীয় শোক গিলে খেতে শিখেছি
শোকস্রোত সংসারের আনাচকানাচ দিয়ে বয়ে চলে
আজন্ম সাঁতার আমার
স্তব্ধতার আড়াল রেখে বলি, বেশ ভালো আছি
কে বা কাহারা তখন জন্মান্ধ হয়ে যায়।