মোমের মানুষ খোঁজে ক্ষ্যাপা
মোমের মানুষ খোঁজে ক্ষ্যাপা
কাঁচের শহর ঘুরে,
হামাগুড়ি দেওয়া স্নিগ্ধ সকাল
ক্রমে ক্রমে যায় দূরে।
চোখ, নাক, মুখ সকলই আছে
অন্তরে সবই ফাঁপা,
জনারণ্যে মানুষ খুঁজে
পায় না তবুও ক্ষ্যাপা
উড়িয়ে ধুলো সরিয়ে পাথর
ডুবুরি হয়ে গভীর জলে,
পেয়ে রতন হেলায় হারায়
ভ্রান্ত পথিক প্রতি পলে।
ছায়ার শরীর ভাঙতে থাকে
ধরতে গেলে হৃদমাঝারে,
ঝোড়ো হাওয়ায় পলকা আবেগ
শক্ত মাটি আছড়ে পড়ে।
মান-হুঁশের মানুষ মরে
সুখের অসুখ তিলে তিলে,
তবুও ক্ষ্যাপা খুঁজতে মানুষ
সামিল হয়েছে মৃত্যু মিছিলে।
ইচ্ছামতী
ইচ্ছামতীর ইচ্ছেগুলো
ঘূর্ণি হয়ে ঘুরছে পাকে,
শান্ত নদীর টলটলে জল
তারই নীচে দুঃখ আঁকে।
কাকচক্ষু অগাধ জলের
বাঁধন হারা অবাধ গতি,
সাম্যের সুখ-স্বপ্ন ভেঙ্গে
নাম হয়েছে ইচ্ছামতী।
এপার ছুঁয়েছে ওপারের ব্যাথা
কাগজে গড়া নৌকা দিয়ে,
অথৈ জলে পলকা আবেগ
ধীর লয়ে যাচ্ছে বয়ে।
দুই সহোদর দাঁড়িয়ে দু-পাড়ে
মাঝে আন্তঃসীমান্ত ইচ্ছামতী,
মেঘের সাঁকোতে ঘন ভাবাবেগ
মনের ঘরে গড়েছে বসতি।