অনুভূতির গল্প

লিখেছেন:রিয়া দে

কয়েক দিন ধরে শীতটা ভয়ানক জাঁকিয়ে পড়েছে। খোলামেলা মফস্বল এলাকায় বরাবরই ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়ে। এবছর যেন আরও বেশি। সন্ধ্যের পর ক্লাব ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে আড্ডায় বসেছিল শ্রুতি, অভি, গীতা, রাজ্যনা, সুপ্রিয়, নীলাঞ্জন। ক্লাবের কিছু হিসাব-নিকাশ নিয়েই তাদের আজ এই আসর পেতে বসা। নিজেদের কর্মসূত্রে এই ক্লাবের বেশিরভাগ সদস্যই আজ বাইরে, আর যারা এই মফস্বলে পড়ে আছে তারা তাদের ব্যস্ততাময় জীবন কাটিয়ে ক্লাবের চৌকাঠ পার করতে পারে না। সুদর্শনের বিয়ে উপলক্ষে সবাই এসে জুটেছে নিজ নিজ পৈত্রিক ভিটেতে। নিশিকান্তপুর একটি ছোট্ট গ্রাম, যার দক্ষিণ হস্তে গঙ্গা আর বাম হস্তে অজয়। মাঠের পর মাঠ, যেদিকেই দৃষ্টি পড়ে হলদে সবুজ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। এককালে এই অঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নদীপথ। সেই সময় গ্রামের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করার জন্য গঙ্গা পেরিয়ে যেতে হতো কলেজে। সূর্য ডোবার সাথে সাথে পুরো গ্রাম অন্ধকারের গহ্বরে ডুব দিত। পড়াশোনা করার জন্য আলোর মাধ্যম হিসেবে হ্যারিকেন কিংবা লম্ফ-আলোই ছিল একমাত্র ভরসা। এখন অবশ্য সেসব কাটিয়ে নিশিকান্তপুর সেজেছে বৈদ্যুতিক আলোয়। স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছুই তার বুকে গজিয়ে উঠেছে। অভি অনেকক্ষণ ধরেই তার ফোনের মধ্যে পড়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে নীলাঞ্জন নাড়ুদার দোকানের চা আর ফুলরি নিয়ে হাজির। এত দিন পর ছয় বন্ধুর দেখা হয়েছে, নাড়ুদার দোকানের চা ফুলুরি হবে না এও কী সম্ভব! নাড়ুদা অবশ্য এখন আর বেঁচে নেই তবে নাড়ুদার দোকানটা এখনো বেঁচে আছে। তার কোন এক দুঃসম্পর্কের ভাগ্নে নাকি এই দোকানটা এখন চালায়। সুপ্রিয় বলে উঠল, "হ্যাঁ রে নাড়ুদার একটা ছেলে ছিল না।" নাড়ুদার ছেলে আমেরিকায় এখন রিসার্চ করছে। এর আগের বার শীতে নাড়ুদা যখন অসুস্থ হয়ে পড়লো  তার ছেলেটি একবারও এলো না। নাড়ুদা মারা যাওয়ার পর তার সমস্ত  কাজ নাড়ুদার ওই দূর সম্পর্কের ভাগ্নেই করেছে। নাড়ুদার ছেলে নাকি এখন মস্ত বড় বিজ্ঞানী। বিদেশেই বিয়ে করে ওখানেই স্থায়ী ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। হ্যাঁ অবশ্য বিয়েটা এক বাঙালি মেয়েকেই সে করেছে। অভি একবার তার ফোনটা ছেড়ে সুপ্রিয়র মুখের দিকে তাকিয়ে আবার ফোনে মনোনিবেশ করল। শ্রুতি অনেকক্ষণ ধরেই অভির ফোনটা দেখার চেষ্টা করছে কিন্তু দেখে উঠতে পারছে না। এবার শ্রুতি অভিকে খানিকটা ধমক দিয়ে দূরে সরে গিয়ে বসলো। অভি বেগতিক দেখে ফোনটা রেখে শ্রুতির কানে কানে বলে উঠলো, “ডিসেম্বরের শীতে রাগের পারদ চড়াটা বেশ আরামদায়ক। এই মফস্বলের শীতে কেমন যেন কাশ্মীরের ছোঁয়া লাগে। রাগ করলে তোর গালগুলো কাশ্মীরি আপেলে পরিণত হয় আর ঠোঁট দুটো গোলাপ ফুলের পাপড়ির মত লাল টুকটুকে হয়ে যায়, মনে হয় ঠোঁটের সমস্ত রঙ শুষে নি।" উফ্ অভি তোর ছেলেমানুষী এখনো গেল না। সেই আঠারো বছর ধরে একই রকম রয়ে গেলি তুই। আচ্ছা এবার এতক্ষণ ধরে কি করছিলি একটু দেখাবি? অভি ফোনটা ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট করতেই পর্দার উপর ভেসে উঠলো পিছনে ফেলে আসা অতীত টা। কিছুক্ষণের জন্য ঘরের মধ্যে একটা গাঢ় নিস্তব্ধতা জমাট বাঁধলো। বাইরে থেকে ভেসে আসতে থাকল ঝিঁঝির ডাক। গোটা গ্রাম তখন কুয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন। পাশের বাড়ির দাদুটা তখনও তার ট্রানজিস্টারের কাঁটাটা ঘুরিয়ে যাচ্ছে রাতের শেষ খবরটা শোনার জন্য। দূর থেকে ভেসে আসতে থাকলো শিয়ালদের হাঁক ডাক। স্ক্রিনে তখনো ভেসে ভেসে যাচ্ছে ছবির পর ছবি। স্ক্রিনের ওপর নীলাদ্রী-গীতা -সুপ্রিয়র অনুষ্ঠানের ছবিটা ভেসে উঠতেই সুপ্রিয় গম্ভীর গলায় বলে উঠল তোরা সারা জীবন আমাকেই দোষারোপ করে গেলি। দোষ নীলাদ্রিরও ছিল। এই ছবিটাই বোধহয় ওদের তিনজনের একত্রে শেষ অনুষ্ঠান। সুপ্রিয় এক সময় ক্লাসিক্যাল গান করত আর নীলাদ্রি ছিল তার তবলা বাদক। সেই সময় এই “তাসের ঘর” মেতে উঠত গান-নাচ-নাটকের মহড়ায়। ক্লাবের নাম রাখা হয়েছিল “তাসের ঘর”। এক সময় এই তাসের ঘরই ছিল আমাদের প্রাণকেন্দ্র। অমিতেশদার নেতৃত্বে চলত নাটকের রিহার্সাল। তোদের মনে পড়ে একবার ক্লাবে খুব ঘটা করে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালিত হয়েছিল। অমনি পাশ থেকে রাজন্যা বলে ওঠে-"ওই রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে শ্রুতির নাচ দেখেই তো অভি প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিল।" অভি এখন কলেজের সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক আর শ্রুতি একজন নামজাদা নৃত্য শিল্পী। বর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রী। অভি ছোট থেকে ভাবুক প্রকৃতির মানুষ আর শ্রুতি ঠিক তার উল্টো। শ্রুতি ছোট থেকে বরাবরই ডানপিটে স্বভাবের। কলেজে উঠে আমাদের অভির সাথে পরিচয়, তারপর থেকে একটু একটু বন্ধুত্ব। আর সেই সূত্র ধরেই অভির তাসের ঘরে যোগদান। তারপর কখন যে দুজন দুজনকে মন বিনিময় করে বসলো সে গল্প বলা ভারি মুশকিল। রাজন্যার দিকে চোখ পড়তেই দেখতে পেলাম বাদামি মণিতে জল টলমল করছে। বর্ষায় অজয় এসে গঙ্গার দুকূল যেমন প্লাবিত করে তোলে  ঠিক তেমনি বাদামি চোখের জল টলমল করতে করতে উপচে পড়ল টমেটোর মত নরম গালে। একটা সময়  নীলাঞ্জন ও রাজন্যা একে অপরকে ভীষণ ভালোবাসতো। বিয়েও করতে চেয়েছিল। কিন্তু তখন নীলাঞ্জনের পুঁজি বলতে গুটিকতক ছাত্রছাত্রী। রাজন্যার বাবা কোনভাবেই তাদের সম্পর্কটা মেনে নিলেন না। অগত্যা রাজন্যার বিয়ে হয়ে গেল। এখন সে গৃহবধূ ও একটি সন্তানের মা। ছোট থেকেই রাজন্যার ঝোঁক ছিল আঁকার প্রতি। ফেব্রিক এর উপর পারদর্শিতা তার বেড়েই চলেছিল। ওর ভীষণ ইচ্ছে ছিল একটা বুটিক খোলার। একবার সরস্বতী পূজোয় আমাদের সবার জন্য পাঞ্জাবিতে একই রকম নকশা করেছিল। এখন অবশ্য সে নকশা ঠাকুর ঘরের আলপনাতেই সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে নীলাঞ্জন এখন ব্যাংকে কর্মরত। স্ত্রী-পুত্র সহকারে তিনি এখন বর্ধমানবাসী। গীতাকে অনেকক্ষণ ধরেই দেখছিলাম বেশ অন্যমনস্ক। গীতার গায়ের উপর হাত রাখতেই চমকে উঠে বলল কলেজের সময়টাই ভালো ছিল। বিড়বিড় করে বলতে থাকলো, তখন চারপাশে কত বন্ধুদের ভীড়। এই স্কুলের বন্ধু, কলেজের বন্ধু, টিউশনের বন্ধু, গানের ক্লাসের বন্ধু আর এখন বন্ধু বলতে রান্নাঘরের সরঞ্জাম, ছেলের বই খাতা, বাজারে হিসাব, লন্ড্রির বিল। গীতাকে থামিয়ে বললাম একটা গান ধর না, সুপ্রিয় আছে হয়ে যাক তোদের একটা যুগলবন্দী। গীতাকে খানিকটা ধাতস্থ করার জন্য  আর ওদের পুরনো সম্পর্কটা আবার ঠিক করার জন্য কথাগুলো বলে বসলাম। গীতা কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলো সেদিনের সেই ঘটনার পর থেকে নীলাদ্রি  নিজেও প্র্যাকটিস করে না আর আমাকেও আর গান করতে দেয় না। ঘরের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য আবার একটা নিস্তব্ধতা বয়ে গেল। অথচ একটা সময় নীলাদ্রি-গীতা-সুপ্রিয় তাদের গানে গানে এই তাসের ঘর খানাকে মাতিয়ে রাখত। সেদিন প্রোগ্রাম শেষের পর সবাই যখন একটু নেশায় মত্ত তখন সুপ্রিয় হঠাৎ গীতাকে তার মনের কথা জানিয়ে বসে, ব্যাস সেই নিয়েই দুই বন্ধুর মধ্যে লেগে গেল যুদ্ধ। আর তারই মাশুল গুনতে হচ্ছে গীতাকে। রাত ক্রমশ বাড়তে থাকছে, শীতও জাঁকিয়ে ধরছে। শিরা উপশিরার ভিতর দিয়ে স্মৃতিগুলো দৌড়ে বেড়াচ্ছে। লোডশেডিং হয়ে যাওয়ায় ল্যাপটপের আলোয় সবার মুখগুলো অস্পষ্ট দেখাচ্ছিলো। আলো-আঁধারিতে তখন সবাই হাঁটা দিয়েছিল নস্টালজিয়ায়। ভীষণ একটা চেঁচামেচির আওয়াজে সবার ঘোর খানিকটা কাটলো। অসীম কাকুদের বাড়িতে এখন প্রায় ঝামেলা লেগেই থাকে। অথচ এক সময় অসীম কাকুদের বাড়িতে সন্ধ্যে হলেই বসত চাঁদের হাট। পাড়ার মধ্যে অসীম কাকুদের পরিবারটাই সবথেকে বড় ছিল। একসাথে সাত ভাইয়ের বসবাস ছিল এই বাড়িতে। সময়ের সাথে সাথে পরিবারে ভাঙন ধরল। তিন ভাই তো মারা গেল আর বাকি চারজন আলাদা হয়ে অন্যত্র চলে গেল। যে তিন ভাই মারা গেছে সেই ভাইদের পরিবারই এখন এই বাড়িতে থাকে। গাছ লাগানোর পর গাছের গোড়ায় জল ঢালতে ঢালতে এক সময়  গাছের গোড়ার মাটি আলগা হয়ে  গিয়ে শিকড় দেখা যায়। এবার যদি গাছের গোড়ায় মাটি না দেওয়া হয় তাহলেই গাছ উপড়ে যাবে। গাছের মৃত্যু অনিবার্য। সময় মত যেমন গাছের গোড়ায় মাটি ও জল দিয়ে তার পরিচর্যা করা আমাদের কর্তব্য  তেমনি সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যত্ন ও গুরুত্ব দুটোই যদি সমান ভাবে না দেওয়া হয় তাহলেও সেই সম্পর্ক শুকিয়ে যেতে বেশি দিন সময় লাগে না। অনেকটা নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মত : "প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান এবং বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া থাকে।" হঠাৎ করে শ্রুতি হেসে লুটোপুটি খেতে শুরু করে। স্ক্রিনের উপর ভেসে ওঠে পিকনিকের ছবিগুলো। একবার আমরা পঁচিশ জন মিলে পিকনিক করেছিলাম স্বপন মামাদের কলাবাগানে। সেখান থেকে অমিতেশদারা খান কয়েক কলা নিয়ে এসেছিল, সে নিয়ে পরের দিন একটা অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর থেকে কোনদিনও স্বপন মামা তাঁর কলাবাগানে আর পিকনিক করতে দেয়নি আমাদের। সম্পর্ক বিষয়টা এমনই হয় ছোট থেকে জীবন পথে নানান ছোট বড় অনেক সম্পর্ক গড়ে উঠলেও দিনের শেষে পরে থাকে একটি কিংবা দুটি সম্পর্ক — যেমনভাবে স্ত্রী ডিম্বাণুর দিকে ম্যারাথন দৌড় দেয় হাজার হাজার শুক্রাণু কিন্তু স্ত্রী ডিম্বানুটি গ্রহণ করে একটি ডিম্বানুকে, সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেই একই পদ্ধতি। অনেক সম্পর্কের ভিড়ের মাঝে দিনের শেষে যে সম্পর্ক পরে থাকে তাকেও যদি যত্ন না করি তা হলে সেও একদিন মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে। একটা শিশু জন্মের পর তার প্রথম সম্পর্ক বলতে সে তার মা ও বাবাকেই বোঝে। তারপর আস্তে আস্তে সে চিনতে শেখে পরিবারের বিভিন্ন সম্পর্ক তারপর আর একটু বড় হতে হতে সে স্বাদ পায় নিজের রক্তের বা নিজের রক্ত ভিন্ন অন্য সম্পর্ক। জীবনে চলার পথে গজিয়ে ওঠে নানান সম্পর্ক, যেমন একটা বৃক্ষের সাথে সাথে তার চারপাশে গজিয়ে ওঠে বিভিন্ন গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। একটি বৃক্ষ বড় হতে হতে গুল্মদের যেমন অবলুপ্তি ঘটে তেমনি বৃক্ষ তার শাখা প্রশাখা নিয়ে তৈরী করে তার পরিবার। অনেক সম্পর্কের মাঝে বাড়তে বাড়তে একদিন আমি থেকেই তৈরি হয় অনেকগুলো সম্পর্ক। সূর্য যখন মধ্য গগনে জীবনে তখন সম্পর্কের ভিড়, সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে তখন সম্পর্কেরাও ক্ষীণ হয়ে আসে। পড়ে থাকে হাতে গোনা গুটিকতক সম্পর্ক আর সেই সমস্ত সম্পর্কের মাঝেই দানা বাঁধে রাগ-অভিমান। একাধিক সম্পর্কের মাঝে অবহেলিত মন খারাপ কখন যে ঘনীভূত হয়ে ওঠে তা ক্রমশ টের পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। মা বাবার চোখের সামনে ছেলে-মেয়ের বড় হাওয়াটা ধরা পরে তাদের জামা-কাপড়ে ঠিক সম্পর্কের মধ্যে রাগ অভিমানগুলো জমতে জমতে যখন কঠিন হয়ে দাঁড়ায় কিংবা একদিন ভীষণ মন খারাপে নিস্তব্ধ হয়ে যায় দুটো মন তখন বোঝা যায় সম্পর্কের মাঝে অবহেলিত রূপ। আর সেই রূপ এতটাই ভয়ংকর হয় যে দমকা হাওয়ায় তাসের ঘরের মতো মুখ থুবড়ে পড়ে খুব প্রিয় সম্পর্ক গুলো। যেমন আজ, আমরা ক্রমশ ছিটকে পড়েছি একে অপরের থেকে। সুদর্শন এর বিয়ের পর্ব শেষ হয়ে গেলেই আবার যে যার পথে। তালা বন্ধ এই 'তাসের ঘর'। জংপড়া দরজার শব্দ ভঙ্গ করল রাতের নীরবতা। চৌমাথার মোরে ইলেকট্রিক পোল্টাই দপ করে আলো জ্বলে উঠলো। শিউলি গাছটা তখনো এক গা গয়না পড়ে দাঁড়িয়ে। সুপ্রিয় ওপাশ থেকে বলে উঠলো সুদর্শনের  জন্য এই ছবির অ্যালবাম সুন্দর উপহার। গীতা পিছন থেকে গান ধরল -"পুরানো সেই দিনের কথা, সে কি ভোলা যায়।" তার পরের লাইন থেকে আমরা সবাই গলা মেলাতে থাকলাম। অন্ধকারের মধ্য থেকে দুটো হিম মাখানো হাত ক্রমশ কাছে আসতে লাগলো একটু উষ্ণতার জন্য। 

 

0 Comments
Leave a reply