ওই দেখো অলস চৈতন্য,
নীরব নক্ষত্র হয়ে ঝুলছে!
আকাশে দুলছে বাঁকা চাঁদ
আর গলায় দড়ি দিয়ে হাসছে বাতাস।
হাহাকারের মতো গেয়ে চলেছে ঝিঁঝিপোকারা।
পদশব্দ... ভারি কোনো পদশব্দের মতো
একগাদা দুঃস্বপ্ন আগুয়ান!
ওই দেখো জানালায় গর্ত খুঁড়ছে বাসনা,
বিস্ময় বুকে নিয়ে অন্ধকারের পেয়ালায়
ঘুরছে ভোরের অলৌকিক চামচ।
ফালতু হিসেবের সংশয় পকেটে জমছে!
হামাগুড়ি দিয়ে এগোচ্ছে খেদ ও খিদে,
পলক পড়ার আগেই ঝরে পড়ছে অবসাদ।
তুচ্ছ কারণে কপালে দপদপ শিরা,
রসনায় নাচতে থাকে তামসিক বচন,
স্বাদ ও সাধ পরস্পরের হাত ধরে দুলছে!
ওই দেখো ভরাডুবি সূর্যের হাতে মেঘের হাতকড়া,
জেলের ক্লান্ত হাতে ঝুলতে থাকা
জালের গায়ে লেগে থাকা অজস্র আঁশের মতো,
প্রতিসম সেই প্রকল্প জুড়ে ঘুরতে থাকা
অগুনতি মাছির উল্লাসের মতো,
শতাধিক মৃত মাছেদের মতো,
বিবেক, বাসনা ও বিশ্বাস
ঝুলছে, ঘুরছে ও পড়ে আছে।
আর এ'ভাবেই আমরা পায়ে পায়ে
হেঁটে চলেছি এক জীবন থেকে
আরেক জীবনের দিকে, অথবা
হয়তো আমরা নই, মায়াবী লন্ঠনের মতো
আমাদের অনুসারী আত্মারা।