জনৈক আমলার আমূল ভূমি সংস্কার জীবন - তৃতীয় পর্ব

লিখেছেন:নির্মাল্যকুমার মুখোপাধ্যায়

পর্ব ৯ 

ধুলোর দোষ 

 

এই পর্বে প্রবেশের আগে ‘ধুলোর দোষ’ শব্দটার সঙ্গে আসুন আলাপ করিয়ে দি।  আমি নিজেই এই শব্দটা ২০০৯ সালের আগে জানতাম না। অথচ আমি চাকরিটা পেয়েছি ১৯৮১ সালে। প্রায় ২৮ বছর পর আমি একটা যথাযথ শব্দ খুঁজে পেলাম, যেটা আমাকে উপহার দিল আমার ভাইয়ের বয়সী সহকর্মী সিদ্ধার্থ বসু। 

আমার পোস্টিং তখন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরের আলিপুর অফিসে। সেখানে এসেই বাজখাঁই গলার অধিকারী এই সিদ্ধার্থর সঙ্গে আমার আলাপ হল। তার চেহারা যেমন সরু, গলা ততটাই মোটা। অনেকটা কোচবিহারের অনাদির মতো। সিদ্ধার্থ, আমার ধারণা, কোনও কথাই মৃদু গলায় বলতে পারত না। তার মৃদুতম স্বরটাও তিন খানা পার্টিশন টপকে গেটের মুখ থেকে শোনা যেত। পরে ক্রমশ জানতে পেরেছিলাম ওঁর প্রেম করে বিয়ে। আমার ধন্দ কাটত না ও ঠিক কোন টোনে প্রেম নিবেদন করেছিল। সেই স্বর কি ওঁদের দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল? আমার মনে হয়, অসম্ভব। 

এহেন সিদ্ধার্থ আমি জয়েন করবার কিছুদিন পরেই আরেক আমাদের সিনিয়র একজনের সম্বন্ধে আমাদের সবাইকে সতর্ক করে দিল এই বলে যে ওনার নাকি ‘ধুলোর দোষ’ আছে। সেই ‘ওনাকে’ আমিও নদীয়া জেলায় আগেই পেয়েছিলাম। যাই হোক, আমি প্রথমে শব্দটার মানে ঠিক ধরতে পারিনি। হাঁদার মতো বললাম,

- বস্‌, ধুলোর দোষ জিনিষটা কী?

সিদ্ধার্থ বাক্যের আগে পরে কানে আঙুল দেওয়ার মতো প্রচুর ‘দেবভাষা’ যুক্ত করে বলল,

- এই ডিপার্টমেন্টে এতদিন আছো, ধুলোর দোষ কী জান না!

আমার সারল্য দেখে এসে কৃপার হাসি হেসে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল আর তর্জনী একসঙ্গে জুড়ে ওপর দিকে কয়েন ছুঁড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করে বলল,

- দাদা, এইটার দোষ।   

আমি বুঝে গেলাম ও ঘুষ খাওয়ার কথা বলছে। আমার বুকের ভেতরে কী যেন একটা লাফ দিয়ে উঠল। এতদিনে ঘুষ শব্দটার একটা মারাত্মক, যথাযথ এবং অমোঘ প্রতিশব্দ খুঁজে পেলাম আমি। ঘুষ, বাঁ হাতি কারবার, তোলা আদায়, ব্রাইব, হাশ মানি, উপরি যে নামেই ডাকা হোক না কেন, ধুলোর দোষ শব্দের কাছাকাছি কেউ না। আমি আকর্ণ হেসে বললাম,

- ক্লিয়ার। 

আজ এই লেখা লিখতে লিখতে আমার এই আমূল ভূমি সংস্কার জীবনের কিছু ধুলোর দোষযুক্ত সহকর্মীর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তাঁদের বিবরণ আমি এখন লিপিবদ্ধ করব। 

একের পর এক বর্গাদার খুন হয়ে যাওয়ায় আমি তখন বেশ আতঙ্কিত। আমার অবস্থা দেখে রথীন রায়, আমার চার্জ অফিসার, তার মনে করুণার উদ্রেক হল। তিনি আমাকে একটা হল্কা ক্যাম্পের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে দিনহাটা সাবডিভিশনের অন্তর্গত সাহেবগঞ্জ হল্কা ক্যাম্পের ইনচার্জ মানে হল্কা অফিসার করে পাঠিয়ে দিলেন। বললেন,

- ওখানে একজন জবরদস্ত আমিন আছে, সফিউদ্দিন। লোকাল। খুব এফিসিয়েন্ট, ও এইসব সিচুয়েসন হ্যান্ডেল করতে এক্সপার্ট। আপনি চলে যান। মন দিয়ে কে.বি. [খানাপুরি কাম বুঝারত, সেটেলমেন্টের ভাষায়-সাধারাণ মানুষের ভাষায় মাঠ জরিপ] করুন। 

আমি বাক্স প্যাঁটরা গুটিয়ে চলে এলাম দিনহাটা। দিনহাটায় এসে দেখলাম এখানে অনেক কানু-ভাই [একদল কানুনগো] নানা ভাবে থাকে। কেউ কেউ বিবাহিত। তারা ঘর ভাড়া নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রবিষ্ট। বেশির ভাগই অবিবাহিত। তারা একটা বড় বাড়ির তিন চারখানা ঘর নিয়ে থাকে এবং একজন মাসির হাতে খায়। সেই রান্না মুখে দেওয়া যায় না। 

অবিবাহিতদের মধ্যে আমি গোবিন্দ ভটচাজ বলে একজন নদীয়ার ছেলেকে পেয়ে গেলাম, যে আমার সঙ্গে মুর্শিদাবাদে ট্রেনিং নিয়েছিল। আমাকে তার ঘরে একচৌকি শেয়ার করে সে কদিন থাকতে দিল এবং সেই মাসির অখাদ্য রান্না খেতে দিল। আমি সাহেবগঞ্জ হল্কা ক্যাম্পে দুদিন বাদে জয়েন করলাম। 

সাহেবগঞ্জ দিনহাটা থেকে এক ঘণ্টার বাস জার্নি। সেই বাস জার্নির গল্প আরেক পর্বে বলব। সে এক বলবার মতো জার্নি। যাই হোক আমি বাসে চেপে দিনহাটা হল্কা ক্যাম্পে জয়েন করে গোবিন্দর চৌকিতে এসে শুয়ে পড়লাম। 

কয়েকদিন বাস জার্নি করে আমার অবস্থা টাইট। এত খারাপ জার্নি সাতদিনের বেশি করা অসম্ভব। তাই আমার অফিসের গ্রুপ ডি, বীরেন রায়কে বললাম,

- আমাকে এইখানে একটা ঘর দেখে দিন। আমি ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করলে মরে যাব। এরপর তো আবার বাস থেকে নেমে ফিল্ডে যেতে আবার তিন চার কিলোমিটার হাঁটতে হবে। পারব না। 

বীরেন আমাকে অফিসের পাশে জে এল আর ও অফিসের গায়ে একটি বাড়িতে নিয়ে গেল এবং সেখানে একটা ঘর আমাকে থাকার জন্য ঠিক করে দিল। আরও ঠিক করে দিল যে এই বাড়িওয়ালা আমাকে চার বেলা খাওয়াবে এবং আমি তার বিনিময়ে মাসান্তে একটা মূল্য ধরে দেব। সেই বাড়িওয়ালার আদৌ ইচ্ছে নয় মুদ্রা নেওয়ার। তাতে তার সম্মান থাকে না। তিনি মাঝারি বড় জোতদার। তার ছেলে বৌ সব হাইস্কুলের টিচার। ঘরে গরু, গোলায় ধান। তিনি কেন মুদ্রার বিনিময়ে কানুনগো সাহেবকে রাখবেন? 

কিন্তু আমার অনমনীয় মনোভাব দেখে তিনি সামান্য একটা পরিমাণ নিতে রাজি হলেন। আমি বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে গোবিন্দকে ছেড়ে সাহেবগঞ্জ চলে এলাম। 

এইখানে এসে আমি প্রথম প্রেমে পড়ি। সেই গল্প ‘কানুনগো জীবনে প্রেম’ নামক চ্যাপ্টারে ক্রমশ বলব।

সাহেবগঞ্জে আমার মাঠ জরিপ পর্ব শুরু হল। এই কাজ আমি আগে করিনি। এখানেই হাতেখড়ি বলা চলে। আমার শিলডাঙা অফিসের সিনিয়ার ক্ষেমানন্দ বলে দিয়েছিল যে এই মাঠ খসড়া বা কে.বি. হচ্ছে ঘুষ খাওয়ার সমুদ্র। এখানে প্লট টু প্লট টিম যাবে এবং সব প্লট থেকেই পয়সা তুলবে। এটা খুব স্বাভাবিক একটা তোলা আদায়।  এই আদায়ের কথা নীচ থেকে ওপর, সব মহল জানে এবং কিছু বলে না। বলে, একমাত্র পাব্লিক এজিটেসন হলে। যদি জনগণ বলির পাঁঠার মতো হাড়কাঠে এসে গলা ঢুকিয়ে দিয়ে কিছু মুদ্রার বিনিময়ে তার জমির দলিলটা সরকারি খাতায় তুলে নিতে পারে এবং কোথাও অভিযোগ না করে, তাহলে এই ধুলোর কোনও দোষ নেই। 

আমার ট্রেনিং চলাকালীন এক পেস্কার আমাকে ধুলো খাওয়ার কৌশল এক কথায় শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তার নাম ছিল নলিনাক্ষ ঘোষ। তিনি মুখভরা পান গালের একপাশে সরিয়ে রেখে আঁউ আঁউ করে বলতেন,

- সাহেব, ঘুষ যদি খেতেই হয় তাহলে জল ওপর থেকে নিচে যখন নামছে তখন দু এক আঁজলা তুলে খাবেন। কিন্তু নীচ থেকে ওপর দিকে উঠানোর সময় খবর্দার খাবেন না। 

আমরা সেই সান্ধ্যভাষা বুঝতে না পেরে অর্বাচীনের মতো চেয়ে আছি দেখে তিনি প্রাঞ্জল হয়েছিলেন,

- ধরুন যার কাগজপত্র সব ঠিক আছে, দখল পাক্কা, আপনি তাঁকে দুশ্চিন্তামাখা স্বরে বললেন, আপনার দলিলের দাগ নম্বরের একটু গোলমাল আছে। ম্যাপের সঙ্গে মিলছে না। তার মাথায় বাজ ভেঙে পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। সে কাঁচুমাচু মুখে আপনাকে বলবে, স্যার, কী করলে এই সমস্যা দূর হবে? তখন আপনি অথবা আপনার টীমের কেউ তাঁকে রবিবারে দেখা করতে বলবেন এবং জমির পরিমাণ আর লোকটার পকেটের ক্যাপাসিটি আন্দাজ করে মাল চেয়ে নেবেন। তারপর আপনি রেকর্ডটা করে দেবেন। আর আপনার শেয়ারটা বুঝে নেবেন।  এইটা হল জল ওপর থেকে নিচে নামার সময় খেয়ে নেওয়া।

- আর উলটোটা কেমন?

- ধরেন, ভুলটা সত্যিই আছে দলিলে। আপনার হাতে তো অসীম ক্ষমতা, মাঠের হাকিম। আপনি রেকর্ড করে দিলেই রেকর্ড। ভুল কাগজ অথচ রেকর্ড করে দিলেন, এইটা সামান্য ঝুঁকির কাজ। কেউ আপত্তি করলে আপনি একটু মুস্কিলে পড়বেন। বার বার এরকম আপত্তি এলে আপনি বদলি অথবা ভিজিলেন্স খেয়ে যেতে পারেন। সেইজন্য এইসব কেসে পেমেন্ট হাই এবং রিস্কও হাই। এটাকে বলে জল নীচ থেকে ওপরে তুলে খাওয়া। 

আমাদের চিন্তিত দেখে উনি বলেছিলেন,

- অত চিন্তার কিছু নেই। মাল নিজে হাতে নেবেন না। তাহলেই রিস্ক নেই। আর তিনটে দ মেনে চলবেন। 

- তিনটে দ? মানে?

- দলিল দখল দাখিলা। দাখিলা মানে হল খাজনার রশিদ। এই তিনটে যার পক্ষে আছে আর পিস্ফুলি খাচ্ছে জমিটা সেখানে আপনারা যা খুশি করতে পারেন। তবে, বদ ওপরওয়ালা হলে একটু দিয়ে থুয়ে খাবেন। আপনি যে খাচ্ছেন এই খবর কাক শকুনের মুখে মুখে ওপরে উঠে যাবে কিন্তু। পারা খেয়ে পারা যেমন, হজম করা যায় না, মাল কামিয়ে অনেস্ট সাজাও যায় না। 

প্রথম দিন মাঠে নেমেই সফির সঙ্গে আলাপ হল। বীরেনের মুখে শুনে ছিলাম, ও সটান বাড়ি থেকে মাঠে আসে, মাঠ থেকে বাড়ি যায়। আরো শুনেছিলাম, ওঁর বাহন একটা বাজাজের ‘প্রধান মপেড’ এম এইট্টি। সব প্রধানরা তখন ঐ মপেড চড়ে। সফি আমিন হয়েও ওতেই চড়ে। ও হল্কা ক্যাম্পে আসে কেবল মাইনে নেওয়ার দিন। মাসের বাকি কদিন, সিজিনে, মানে নভেম্বর থেকে জুন অবধি হাজিরা খাতায় এক তারিখ থেকে তিরিশ তারিখ অবধি একটানে লিখে দেয় KB. ব্যাস, ঝামেলা মিটে গেল। বছরের বাকি কটা মাস অফিসে ইচ্ছেমতো আসে এবং ইচ্ছেমতো সই করে। ইচ্ছামতো কাজ করে, নইলে করে না। ওঁর সমস্ত অফিসিয়াল কাজ করে দেয় বীরেন। বীরেন গ্রুপ ডি হলেও গ্রুপ সি-র সব কাজ পারে। এমনকি আমিনের কাজও অনেকটাই পারে। বুঝলাম, বীরেন সফির ছায়াশিষ্য। দেখলাম,  সফির হাজিরা খাতায়  মাঝে মাঝে লেখা আছে দিনহাটা বা কোচবিহার। মানে ঐ ওই দিন সে ঐ ওইখানে। সফি বীরেন মারফৎ জানিয়েছে, তাকে খুজঁতে হবে না, আমার সঙ্গে তার ইচ্ছেমতো সেই দেখা করে নেবে। ক্যাম্পে আরেকজন গ্রুপ সি আছে, নাম জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। তার চুল বচ্চনের মতো কান ঢাকা, প্যান্টের বেল বটমে বচ্চন ঘের, জামাপ্যান্টের ছাঁটকাট বচ্চন প্রভাবিত। তখন বচ্চন রোগা। জ্যোতি তার চেয়ে অর্ধেক রোগা। 

জ্যোতি মাসে তিন চারদিন দিনহাটা থেকে সাহেবগঞ্জ হল্কা ক্যম্পে আসে। এসেই মেন্টেনান্স, মানে যেটা না লিখলে, অফিসের কারও মাইনে হবে না, সেটা লিখে ফেলে এবং লেখা হয়ে গেলে আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে পরের বাসে দিনহাটা ফিরে যায়। সে এসেই বাকি দিনের ফাঁকা হাজিরার জায়গায় ঝপাঝপ দশটা পাঁচটা লিখে সই করে দেয়। 

এখানে সালটা উল্লেখযোগ্য, উনিশ বিরাশি সাল। বামফ্রন্ট পাঁচ বছরে পা দিয়েছে এবং তার প্রধান এজেন্ডা ভূমি সংস্কার। 

সফি এবং বীরেন কংগ্রেসি ইউনিয়ন করে আর জ্যোতি করে কোঅরডিনেসন কমিটি নামে বাম-ইউনিয়ন। নাইট গার্ড বিমলদা, বয়স্ক, তখনই মনে হত সত্তর বছর বয়েস, নির্বিবাদী, জল আনা থেকে টেবিল চেয়ার টানা থেকে ঘর ঝাঁট দেওয়া থেকে সবই করে দেয়।

দিন সাতেক বাদে, প্রথম দিন মাঠে আমাকে বীরেন গাইড করে নিয়ে যায়। বাস থেকে নেমে দেখি ক্যাম্পের সামনে একটা এক্সট্রা সাইকেল আমার জন্য রেডি। বীরেন সেটা আমাকে দিয়ে নিজের হারকিউলিস চেপে বলে, 

- চলেন সার, আমার পাছোত পাছোত চলি আসেন।

প্রায় তিন চার কিলোমিটার গ্রাম্য কাঁচা পথে যাওয়ার পর একটা হাত কুড়ি চওড়া নদী পাই। নদী বড় শান্ত, স্রোত বলে কিছু নেই। বীরেন জানায় বর্ষায় নাকি একে দেখলে ভয়ে বুক শুকিয়ে যাবে। যাই হোক, একটা নৌকা এই পারে বাঁধা। মাঝি নেই। এপারের একটা গাছের সঙ্গে কাছি বাঁধা, সেই কাছি মাথা সমান লেভেলে ওপারের আরেক গাছে বাঁধা। বীরেন সযত্নে দুটো সাইকেল নৌকায় এক এক করে তুলে আমাকে পাটাতনে বসিয়ে দড়ি ধরে মারল টান আর নৌকা সুরুসুর করে চলে গেল ওইপারে।

কিছুটা গেলেই একটা বসতি। টিনের চাল আর দেওয়াল দেওয়া বেশ কিছু ঘর। একটা বটগাছের গোড়া বাঁধান। বেদির সামনে একটা তেপায়া টেবিল। তার ওপর বাঁধা ম্যাপ। একজন হাট্টাগাট্টা বৃষস্কন্ধ বছর পঞ্চাশের মানুষ পেছন ফিরে সেই তেপায়া টেবলের ওপর ঝুঁকে কী যেন করছে। তাকে ঘিরে একপাল উদগ্রীব গ্রামবাসী। 

আমাদের সাইকেল ঢুকতেই কেউ কেউ চেঁচিয়ে উঠল,

- আছি গেইচেন, মোদের নয়া কেশিও সায়েব আসি গেইচেন।

হল্লা শুনে সেই সাজোয়ান পেছন ফিরেই উদ্ভাসিত মুখে বলে উঠল,

- আসেন আসেন। নিশ্চই খুব কষ্ট হল আসতে?

 

*কিছু নাম পরিবর্তিত। 

চলবে –

 

0 Comments
Leave a reply