১
রতনের জীবনে তখন কিছুই ছিল না। তবে চেহারায় বেশ একটা জেল্লা ছিল। মেদিনীপুর শুধু নয়, বাংলার পথেঘাটে যা সচরাচর দেখা যায় না। রতনের উজ্জ্বল বর্ণ কাদা মাটি মেখে চাপা পড়েনি, সেটাই যা আশ্চর্যের। যে বাপের চেহারার সূত্রে তার এমন রূপ, সেটাই বোধহয় কাল হয়েছিল ওদের জীবনে ।
গ্রামগঞ্জে ওর বাবা শঙ্করের উত্তমকুমারের মতো রূপের খ্যাতি ছিল। তবে মুশকিল হল, বিয়ের সময় সেটার থেকে দেনাপাওনা ব্যাপারটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো। সদ্য রেলে চাকরি পাওয়া শঙ্কর তার বাপের কথামতো বিয়ে করে বসে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের মেয়েটিকে। মেয়েটির মধ্যে আর যা কিছু থাক, রূপ ছিল না। তবে প্রথমদিকের উত্তেজনার কারণে রতন আর তার ভাইবোনেরা পৃথিবীতে এসে গেছিল ।
কিছুদিনে শঙ্কর অবশ্য পৃথিবীর ঘাঁতঘোত খানিকটা রপ্ত করে নিল। ততদিনে সে চাকরির সূত্রে খড়্গপুরে পাকাপাকি বাস করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, কেষ্ট ঠাকুরের কায়দায় সে গোকুল ছেড়ে মথুরায় গিয়ে জমিয়ে বসেছে। একটি ঢলঢলে যুবতীকে বাহুবন্ধনে এবং সংসারযাপনে জড়িয়ে নিয়েছে। তখন রতন স্কুলের ওপর দিকে। ভাইবোনেরা আরও ছোট। তাই টানাটানি এবং অবহেলার ধাক্কা তার ওপর দিয়ে বেশি গেছিল নিশ্চিত। স্বাভাবিকভাবে বাপ যে তার নতুন পরিবার নিয়ে সংসার পেতেছে, সে কথা জানাজানি হতে বেশি সময় লাগেনি । অনেকে সে কথা তুলে পথেঘাটে ঠাট্টাও করতো রতনকে।
খড়্গপুরে যে রতন যায়নি তা নয়। সেখানে যাওয়া মানে অপমানিত হতে একরকম। বাপের এই পক্ষের স্ত্রী যে আগের পক্ষের ছেলেকে সুনজরে দেখবে না, তা বলা বাহুল্য। তখনকার বাংলা সিনেমাগুলোর মতোই সৎ মা ওকে ঘরে ঢুকতে দিতে চাইতো না। রতনের অবশ্য না গিয়ে উপায় ছিল না। দরকার মূলত টাকার। মাসের শেষে বাধ্য হয়ে যেতে হতো বাপের কাছে হাত পাততে। বাপ খালি হাতে না ফেরালেও ঠেকাতো সামান্য।
সেসময় থানা পুলিশ বা আইন আদালত করে বাপকে হেনস্থা করার বুদ্ধি বা সাহস লোকে যে দেয়নি তা নয়। কিন্তু ওর মা সেসব মানতে চাইত না, তার পঞ্চায়েত প্রধান বাপ মরেছিল আগেই। আর যে লোক ঘরে ফিরবে না, তার পেছনে ধাওয়া করে লাভ কি ! তাছাড়া শঙ্করের সাথে স্থানীয় পার্টির যোগাযোগ ছিল ভালই।
রতন উচ্চ মাধ্যমিকটা কোনওক্রমে পাশ করে কাজের ধান্দায় লেগেছিল। অবশ্য তার আগে থেকেই মাটি কাটার কাজ টাকার দরকারে করতো সে। তাতে লজ্জা কিছু ছিল না, এলাকার অনেকেই করতো। তবু এসবের মধ্যেই সে যে কীভাবে স্কুলের গণ্ডি টপকে গেছিল, লোকে বুঝতে পারেনি। যদিও তারপর আর রতন এগোতে পারেনি। সিনেমায় তেমন দেখাতো বটে, তবে জীবন তো আর সিনেমা নয় ।
তাছাড়া উচ্চতর ডিগ্রি জিনিসটা তখনও আজকালকার মতো খুব একটা সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি আর হলেও রতনের সামর্থে কুলোত না। কেউ তার থেকে সেসব আশাও করেনি। তখন ঘরে পাঁচটা মুখের খিদে।
টুকটাক নানারকম কাজকর্ম করা শুরু করে তারপর থেকে রতন মোটামুটি রোজগার শুরু করল। তার অল্পবয়সের চেহারা বা কাজকর্মে স্বাভাবিক উৎসাহ দেখে খুশি হতো কাস্টোমার। গ্রাম থেকে খানিক দূরে স্টেশন লাগোয়া একটা হোটেলে ম্যানেজারের কাজে ঢুকিয়ে দিয়েছিল বিশুকাকা। এই একটা লোককে বরাবর সবাইকে সাহায্য করতে দেখেছে রতন। তার বাপের সাথেও ছিল গলায় গলায়। বরাবর তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর করে। পরে এর মাধ্যমেই বাবা খানিকটা ওদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিল।
অল্পবয়সের এই জীবনে পলিটিক্সের ব্যাপারে ভাল করে বোঝার সময় সুযোগ পায়নি রতন। তবে এটা ভালই বুঝতে পারে, আগেকার দিন গিয়ে লালপার্টির রাজত্ব। সব গ্রামেই বিশুকাকার মতো লোক আছ, তারাই পার্টির আসল কথা।
বিশুকাকাকে ছাড়তে চায়নি রতন। সে জানতো, তার ব্যাপারে বিশুকাকার অনুগ্রহের কারণ তার মেয়ে মিনতি। মিনতির নজরে তার ব্যাপারে অনেকদিন ধরেই খানিকটা মুগ্ধতা দেখে আসছে রতন। মেয়েটা খুব চালাকচতুর না হলেও বেশ সুশ্রী । আর সবথেকে বড় সুবিধে যেটা, রতনদের অবস্থা বিশুকাকা গোড়া থেকেই জানে। তাই সামাজিক টানাপোড়েন যে হবে না, এটাই যথেষ্ট ছিল রতনের কাছে ।
রতন তারপর থেকে ঘনঘন হোটেলের মালিকের বাইকটা নিয়ে অকারণে ওদের পাড়ার আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে লাগল। কিছু নিয়মমাফিক কথা হতো ওদের মধ্যে। প্রায়শই রতন মিনতিকে জিজ্ঞেস করত বিশুকাকার কথা। যেন বহুদিন খবর পায়নি। আর খবর আছেটাই বা কি ! গ্রামের প্রৌঢ় বা বৃদ্ধ সব লোককে নির্দিষ্ট কোনও ঠেকে গেলেই পাওয়া যায়।
একই কায়দায় মিনতিও রতনের মায়ের খোঁজ নিত। যদিও তার ক্ষেত্রেও একইভাবে বলা যায়, সারাজীবন অন্য কোথাও যাওয়ার খবর ছিল না।
সবার সামনে এর’ম দু’টো কথাতেই তখন সম্পর্ক সম্বন্ধে সন্দেহ জাগতো। তাতে সুবিধেই হল এক হিসেবে। বেশ অনাড়ম্বরভাবে এক বসন্তের দিনে বিয়ে হয়ে গেল দু’জনের।
২
বিয়ের আগে থেকেই রতন রোজগার বাড়াবার খুব চেষ্টা শুরু করেছিল। ফুলশয্যার রাতেও নাকি সে বউকে নানারকম আশাব্যঞ্জক প্রজেক্টের কথা শুনিয়েছিল, যাতে ভাল লাভ । এসময়ে পুলকিত মেয়েরা সবেতেই সম্মতি দেয়। সুতরাং রতনের জলে ঝাঁপিয়ে পড়তে আর সমস্যা কোথায় ।
তবে এই ব্যাপারটা খানিক আগে থেকে ঘাই মারছে রতনের মাথায়। ওদের হোটেলে সচরাচর মান্যগণ্য লোক আসত না । সেবার একজন এসেছিল । যদিও চেহারা ছবি দেখে বিশেষ কিছু মনে হয়নি। তবে শহরের দু’চারজন কেউকেটা লোক তার সাথে দফায় দফায় দেখা করতে আসায় রতন খানিকটা গুরুত্ব বুঝতে পারে। পরে জেনেছিল, ইনি বিজ্ঞানী । দেশের গরীব লোকের কথা ভেবে নানারকম পদ্ধতি বের করেছেন। তার মধ্যে একটা কারণে এখানে এসেছেন, এখানে মাছ চাষ করার উদ্দেশ্যে ।
পুকুর খালবিল এখানে আছে অনেক। তার সাথে বিশেষ যোগ আছে সমুদ্রের । সেই মাধ্যমেই ভেড়ি বা পুকুরে সমুদ্রের বড় মাছ ঢুকে পড়ে সে কথা ভালই জানা ছিল রতনের। এ অঞ্চলের জল মেপে বলেছিলেন কোন কোন মাছ চাষের জন্যে জল ভাল। তবে লোকটা সেসবের বাইরে গিয়ে বেশি লাভের জন্যে চিংড়ি চাষের বুদ্ধি বাতলেছিল ।
রতনকে ক’দিন সামনে থেকে দেখে বিশেষ স্নেহ করেছিলেন উনি ওর স্বভাবগুণে। রতন যদিও খুব সুরাহা করতে পারবে কি না জানতো না। তবে স্বাভাবিক ভদ্রতায় বুড়ো বিজ্ঞানীর কথা শুনত।
সেই থেকে চিংড়ির পোকা রতনের মাথা জুড়ে আছে । তার জন্যে নিজেদের পুকুরটা ভেবে রেখেছিল। বিয়ের পর যেন তেড়েফুঁড়ে নামলো রতন। গ্রামীন ব্যাঙ্কে বিশুকাকা ধরেকরে কিছু টাকার লোন জোগাড় করেও দিল। সে বছরেই মিনতি প্রসব করল রতনের কন্যা সন্তানটিকে। তার নাম রাখা হল ভাগ্যশ্রী। নামটা কারো কাছে রতন শুনে থাকবে ।
সেই ভাগ্যশ্রীর কপালেই হোক কিংবা রতনের দীর্ঘদিনের চেষ্টায় চিংড়ির ফলন হল মারাত্মক ।
সে খবর ছড়াতে সময় লাগে না। আড়তদারদের থেকে খবর পেয়ে কলকাতা থেকেও লোক এসে পৌঁছোয় রতনের কাছে । ততদিনে রতন আরও ক’টা পুকুর নিয়ে চাষ শুরু করেছে । রতনের জীবনে এই পাঁচ বছর উল্কার বেগে উত্থান ।
গ্রামে সবারই কিছু জমি বা পুকুরের অংশ থাকে। অনেক সময়েই তা পড়ে থাকে এমনি। রতনকে দেখে সবাই নড়েচড়ে বসল। অনেকে বন্দোবস্ত করে তাকে পুকুর ছেড়ে দিল। আবার কেউ কেউ ওর থেকে সুলুকসন্ধান নিয়ে নিজেদের পুকুরে চাষ শুরু করে দিল। বহু ছেলেকে রতন নিজের কাছে কাজও দিয়েছিল। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই পাঁচ গ্রামের মাথা হয়ে উঠল রতন। তার আয়ব্যায়ের কোনও হিসেব নেই। ঘরে সব ধরণের জিনিস এসে গেছে। নিজের মেয়ের সাথে ভাই বোনেদের ছেলেমেয়েকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াতে শুরু করেছে। বাড়ির মেয়েদের গায়ে উঠেছে সোনা। সবাই রতনের ভরসাতেই আছে। তাই তার বাইরের জগতের খবরে কেউ আমল দেয় না ।
মিনতিকে কখনও অবহেলা করেনি রতন, কাউকেই করেনি। রতনের চরিত্রে রূঢ়তা জিনিসটা বড় কম। মায়ের পেটের ভাই বোন শুধু নয়, সৎ বোনের বিয়ের ব্যাপারেও কার্পন্য করেনি। বাপকে একরকম রেখেছিল হাতের তেলোয়। দেখে লোকে অবাক হতো বটে কিন্তু এটাও বুঝতে পারতো একদম শূন্য অবস্থা থেকে শুরু করে আজ অনেক টাকা করেছে বলে রতনের মনে কারো সম্বন্ধে বিশেষ অভিযোগ নেই। বন্ধুবান্ধব পাড়াপ্রতিবেশীরাও তার থেকে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধে পেয়ে এসেছে বরাবর।
রতন পয়সাওলা লোকেদের বেশ কিছু স্যাঙাত নিয়ে ঘোরে। তারাও ওর খরচেই চলে। আর আছে মোহিনী। বড় বড় রাজা মহারাজাদের যার কারণে পতন হয়েছিল ।
৩
মোহিনী এই গ্রামেরই মেয়ে, রতনের থেকে খানিকটা ছোট। তবে বেশ পড়াশোনা আদবকায়দা জানা। খানিকটা টাকা হলেও রতন জানে, সভ্য সমাজে ঠিকমতো মেলামেশা করা তার কম্মো নয়। তাই সঙ্গে অনেক জায়গাতেই মোহিনীকে নিয়ে যেতে লাগল। সে শহর থেকে ডিভোর্স করে ফিরে এসেছে বাপের বাড়ি। তাই সম্পর্ক এগোতে বিশেষ দেরি হল না। ততদিনে রতনের একশোর ওপর পয়েন্ট। মানে একশোটা জায়গায় মাছ চাষ হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন দৌড়দৌড়ির পর রতন যেন খানিকটা বিশ্রাম করতে চাইছে। তাতে মিশে আছে মোহিনীর আবেশ। সবাই সব জানে... মিনতিকে ননদরা বোঝায় পুরুষ মানুষের একটু বাইরের নেশা থাকবে বৈ কি ! সংসারি বেশিরভাগ মেয়ের মতো মিনতিও বাধ্য হয়েছিল সে যুক্তি মেনে নিতে।
তবে তার দীর্ঘশ্বাসে রতনের বিপর্যয় লুকিয়ে ছিল বোধহয়। গোটা দুনিয়া জুড়েই নেমে এল করোনার বিপর্যয়। প্রায় বছর দুয়েক মৃত্যুভয়ের সাথে বেকারত্ব চেপে বসেছে সমাজের বুকে ।
রতনের এই সময়েই ভরাডুবি হল। বেশ কিছুদিন সে নিজে ব্যবসা দেখাশোনা করে না বিশেষ। তার পকেটে ঢোকার বদলে ম্যানেজারদের পকেটে ঢুকতে লাগল টাকা এবং তা হারিয়ে যেতে লাগল। পাড়ার লোকে জানতো, তার বাড়িতে এক বস্তা বাজার ঢুকলে ম্যানেজারের বাড়িতেও তাই যায়। সবটাই রতনের পয়সাতেই। তবু যখন ব্যবসা চলছিল বলে সব দিক উতরে যাচ্ছিল। গোল বাঁধল ব্যবসা বন্ধ হওয়াতে। বাইরে রপ্তানি বন্ধ, লোকাল মার্কেটেও চাহিদা নেই। সবাই প্রাণভয়ে কাঁপছে, কে আর সৌখিন চিংড়ি খাবে ! ক্রমে রতনের একশো পয়েন্ট নিভে এল ।
মাসের পর মাস কাটতে লাগল। অবশেষে নড়েচড়ে বসল রতন। ততদিনে জমা টাকাতেও হাত পড়তে শুরু করেছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলের মাইনে বাকি পড়েছে। অথচ বাড়ির সবাই ভাবছে রতন ঠিক উদ্ধার করে দেবে। মিনতি চুপচাপ মেয়ে, সে দিশাহারা হয়ে পড়েছে ।
রতন একটা ভয়ঙ্কর চান্স নিল। দালালদের ধরে ব্যাঙ্ক লোন জোগাড় করতে চাইল । তাদের পেছনে কয়েক লক্ষ টাকা গলেও গেল। ওদিকে ব্যাঙ্কের আগের লোন জমে জমে পাহাড়। রতনের একটাই ধ্যানজ্ঞান - তার অনেক টাকা চাই ।
ঘোর বৃহস্পতি থেকে ঘোর শনির আওতায় ততদিনে এসে পড়েছে রতন। বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল চিটিংবাজ দালালদের চক্করে রতন বাজার থেকেও কিছু জোগাড় করে ঢেলেছিল ওদের পেছনে। রতনের গুডউইলের জন্যে তখন কেউ ফেরায়নি। কিছুদিন পর থেকে লোকে তার পেছনে খিস্তি করতে শুরু করল। যদিও সামনে কেউ এখনও কিছু বলতে সাহস করে না ।
ওদিকে জমি বেচে রতন আবার ব্যাঙ্কে দৌড়চ্ছে বড় অ্যামাউন্টের লোনের জোগাড় করতে। অনেকে তাকে বোঝাচ্ছে ওগুলো সব ফাঁদ। রতন নিজেও স্বীকার করে বলে, সত্যি... এগুলো যে কোথা থেকে আমার কাছে এসে পৌছোয় ! অনেক টাকা ছাড়া ব্যবসাটাকে বাঁচানো যাবে না, সে কথা সবাই জানে। কিন্তু কে দেবে টাকা ! দেবেই বা কীসের গ্যারান্টিতে !
রতন ব্যাঙ্কের লোকেদের বোঝাতে চায়, গোটা এলাকার লোককে চিংড়ির ব্যবসা সেই শিখিয়েছে ! তবে সেটুকুই তো যথেষ্ট নয়। ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়তে লাগল রতন। কিছুদিন এসে লুকিয়ে থাকলো কলকাতায় চাকরি করা এক তুতো ভাইয়ের কাছে। তখন সে ভেঙে পড়েছে একেবারে।
সেই ভাইয়ের বাড়িতেই রতনবাবুর গল্প শুনেছিলাম। বাঙালির সমুদ্রসম্ভূতা লক্ষ্মী সমুদ্রেই ডুবেছিলেন - কথাটা যেন ভীষণ মানাইসই বলে মনে হয়েছিল ।
তখনও জানতাম না, জল থেকে সোনা তুলে আনা রতন যাবতীয় অপমানের হাত থেকে বাঁচতে শেষপর্যন্ত আশ্রয় নেবে জলেই। কেউ বলে, জল থেকে তোলা তার ফোলা দেহটা সেদিন চিংড়ির মতোই দেখতে লাগছিল ।