১.
একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছি
এটুকুই আমাদের গূঢ় তৎপরতা
বালিয়াড়ি ছাপিয়ে যখন জোয়ার এসেছে
আরো দূরে সরিয়ে নিয়েছি সমুদ্রআসন
দু’পায়ে লেগেছে তবু কাদা, শামুকের গুঁড়ো
যারা হাঙরের মুখে গেছে-
তাদের কথাও কিছু বলা হয়েছিল সান্ধ্য প্রার্থনায়
স্তবগান শুনি। এভাবেই শেষ হয়ে আসে
ক্ষয়িষ্ণু দিনের গল্প, ঘরোয়া আসর
২.
লবণের চিহ্ন নেই, বাঘ তবু লেহন করেছে
ধূসর পাথর
বিলুপ্ত নগরে, ভগ্নস্তূপে খুঁজে পেয়েছিলে
ভাঙা শাঁখা, পেতলের দীপ?
যে পথে মানুষ ঘর ফেলে চলে গেছে
হার্মাদের ভয়ে
সেখানে এখন সারি সারি শ্বাসমূল
সাপের খোলস
৩.
কেউ জেগে আছো? রাতের পৃষ্ঠায় শুধু
যৌন ঈর্ষা আর মূঢ়দের রাজনীতি
কখন যে শুরু হয় অক্ষমের অভিশাপ,
শিখণ্ডী আক্ষেপ!
খলপনা ছাড়া বীরত্বের ইতিহাস নেই,
মহাপুরুষের জুব্বা খুলে দ্যাখো-
মরা ইঁদুরের মতো শুয়ে আছে কথিত পৌরুষ!
পাথুরে গুহায় ধ্যান করে
তুমিও লিখতে পারো অলীক কাহিনী
এখনো হিংসার যুগ, ফোঁসফোঁসানির জোরে
বুড়ো অজগর সবখানে প্রভু সেজে আছে