#
চিরকালীন
ঠিক কতবার তোমার প্রেমে পড়েছিলাম, মনে পড়েনা
কতবার তো নিত্যনতুন প্রেমে পড়া রক্তদ্রোণে;
তোমার বর্ণে, তোমার পর্ণে, তোমার ঘ্রাণে।
কত যে রাত একলা জেগে ভেসেছিলাম, কেঁদেছিলাম, হেসেছিলাম কেউ জানেনা-
জানত কেবল প্রকৃতির এই বসন্ত ছন্নছাড়া
দুঃখ সুখের এ কিংশুকের রাগ যে তখন অশ্রুধারা!
ঠিক কতবার দুঃখ দিলে, ঠিক কতবার টানলে কাছে; মনে পড়েনা-
তোমার প্রেমে বিভোর হয়েই কেটে গেল সমস্ত রাত সমস্ত দিন
আমার এই মেঘজন্ম, বৃষ্টি হয়ে জন্ম আমার মূর্ত হলো সেই তো সেদিন!
#
যেখানে যাওয়ার ছিল
যেখানে যাওয়ার ছিল, হয়নি তো যাওয়া
ভুল পথে ঘুরে ঘুরে, ফিরে গেছে হাওয়া।
তোমার অশোক সাদা, পারিজাত লাল।
এঁকেছো বিষন্নতা, ফাগুন বিকাল।
যে কথা শোনার ছিলো, নিভৃতে একাকী
শুনেছো অনেকবার, যদিও পোশাকি,
তারপর ভুলে গেছে চিরকেলে পথ-
ঘাস ঢেকে দিয়ে গেছে চলার শপথ।
এখন সে একা হাঁটে, তবুও কি একা?
হাঁটুগেড়়ে বসে থাকে দূরে নদী রেখা।
তবুও পলাশ ফোটে এবং পারুল
বুকের ভিতর ফোটে অজস্র ভুল।
যা কিছু পাওয়ার ছিল, হয়নি তো পাওয়া।
বসন্ত পার করে ফিরে গেছে হাওয়া।
রোদের শহরে তবু জাগে কোন ফুল?
স্মিত হেসে দাঁড়িয়েছে একাকী জারুল।
#
নদী
নদীর কানে কথা বলি
আলগা কিছু দু এক ফালি-
ওঠে হেসে,
এলিয়ে পড়ে কূলের পরে
ঢেউ ছিটিয়ে অনেক দূরে,
ভাবতে বসে।
মঞ্জরীদের পাপড়ি খসা
দু এক ফোঁটা ভালোবাসা
পড়লে উড়ে-
ভাসিয়ে দেয় স্রোতের টানেই
বোঝেনা তার কোনো মানেই,
খেয়াল তোড়ে!
জলের কানে কথা বলি
আভাস কিছু কয়েক ফালি,
ওঠে হেসে-
নিজের মতো চলতে থাকে
দু হাতে ফুল ছিঁড়তে থাকে
ভালোবেসে।
#
বিকেলবেলায়
কে ডেকেছে বিকেলবেলায়
এই শ্রান্ত খেলা ফুরাবার
দিন, মেঘ আসে অবসরে
খেলবে সে আরো একবার।
কে দিয়েছে শিস মৃদু স্বরে
তেমন বাতাসে নেই ধ্বনি,
শুধু জানে সেই প্রিয়জন
আমাকে যে ডেকেছে এখনি!
দুইটি তারার মতো দূর
আকাশের গায়ে ভাসে আলো
দু'খানি কার চোখ তবে
যদি একেই না ভালোবাসা বলো?