১
শিল্পের সঙ্গে নান্দনিকতার যোগ কেমন যেন 'ইয়ে ফেভিকল কা মজবুত জোড় / টুটেগা নেহি' -র মতো আবহমানকাল ধরে স্বীকৃত। কখনো যদি তার ব্যত্যয় হয়, তাহলেই হয় সমস্যা, গেল গেল রব উঠে যায়। অথচ ভারতীয় নন্দনতত্ত্ব অনুসারে যে ৯টি রস আছে তার অন্যতম হল বীভৎস রস, অর্থাৎ শিল্পের প্রকাশ যদি অসুন্দর হয়, তাহলেও তা শাস্ত্রসম্মত।
চট করে একবার বীভৎস রসের পরিচয় নিয়ে নেওয়া যাক : যার দ্বারা মনে ঘৃণাদায়ক ভাবের উদয় হয়, তাকে বীভৎস রস (দ্য সারপ্রাইজিং) বলা হয়। এর উৎপত্তি জুগুপ্সা ভাব থেকে, যার অর্থ ঘৃণা, কুৎসা, নিন্দা। এখন পাঠকের মনে হতে পারে এই উৎসবের মরশুমে হঠাৎ এমন বেমানান প্রসঙ্গের অবতারণা কেন? আসলে ষষ্ঠীর দিন যে উৎসবের বোধন হয়, এবারে অনেকের কাছেই সেই উৎসবের বানানটি বদলে গিয়ে "উৎশব" হয়ে গেছে। না না এ শুধু লেখার অক্ষরে নয়, আক্ষরিক ভাবেই একটি শবদেহ ক্রমাগত আমাদের মাথার মধ্যে, হৃদয়ের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে চলেছে। সেই অভিঘাতের প্রতিক্রিয়ায় শিল্পী অসিত সাঁই একটি পাথরের মূর্তি বানিয়েছেন যার নাম "Cry of the hour" আর সেটি নিয়েই জনসমাজের একাংশের মধ্য মহা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
২
Cry of the hour - অসিত সাঁই
এই মূর্তিটি মহালয়ার দিন স্থাপিত হয়েছে একটি কলেজ হাসপাতালের প্রাঙ্গণে। যাঁরা এটি স্থাপনা করেছেন তাঁরা কেউ শিল্পী নন, সকলেই ডাক্তার। কী আছে সেই মূর্তিতে যা নিয়ে অসন্তোষ? আছে যন্ত্রণার প্রতীকী প্রকাশ, আছে নিঃশব্দ কানফাটানো আর্তনাদ। "পাথুরে" প্রমাণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি হাসপাতালে নির্যাতন, ধর্ষণে এক অল্পবয়সী মহিলা ডাক্তারের মর্মান্তিক মৃত্যুর আগের ভয়াবহ যন্ত্রণার কথা। সেই অনুষঙ্গে মূর্তিটি দেখলে যে যে ভাব মনে আসে তার মধ্যে একই সঙ্গে আছে ঘৃণা, নিন্দা ও বেদনা। অর্থাৎ বীভৎস রসের মোক্ষণ বা ক্যাথারসিস ঘটে। এরপরেও কী বলা যায় এটি শিল্প নয়?
৩
বিশ্বের শিল্প-ইতিহাসে এমন তো আগেও হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি কালজয়ী বীভৎস রসের শিল্পসৃষ্টিকে :
The Scream - অগুস্ট রদ্যাঁ
বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর অগুস্ট রদ্যাঁ ১৮৮৬ সালে একটি আবক্ষ নির্মাণ করেন যার নাম "The Scream"। ১৯৬৪ সালে সেটি ব্রোঞ্জে ঢালাই হয়। প্যারিসের মিউজিয়ামে রাখার সময় এটির নামকরণ করা হয় "The Cry"। মূর্তিটি এক মাঝবয়সী নগ্নদেহ পুরুষের আবক্ষ, যে চরম হতাশায় ওপর দিকে তাকিয়ে আছে। তার মুখ হাঁ করা । সে হয়ত বা চীৎকার (scream) করে "জাস্টিস" চাইছে৷ রদ্যাঁর ভাস্কর্য দ্য কিস্ বা থিঙ্কারের - এর মতো এই ভাস্কর্যটি বিখ্যাত না হলেও, অসহায় মানুষের আর্তির এক অসামান্য অভিপ্রকাশ হিসেবে এটির গুরুত্ব অপরিসীম।
৪
গুয়ের্নিকা - পাবলো পিকাসো
ক্যানভাসে আঁকা পাবলো পিকাসোর একটি তৈলচিত্রের নাম গুয়ের্নিকা। সাদা কালো আর ধূসর রঙে আঁকা বিশালাকার (১১.৫ ফুট / ২৫.৫ ফুট) এই পেন্টিংটি বিশ্ববিখ্যাত ও বিতর্কিত। স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের সময় এপ্রিল ২৬, ১৯৩৭ সালে স্পেনীয় জাতীয়তাবাদী বাহিনীর নির্দেশে জার্মান এবং ইতালীয় যুদ্ধ বিমান স্পেনের উত্তরপ্রান্তের বাস্ক অঞ্চলে গের্নিকাতে বোমাবর্ষণ করে। শত শত নিরীহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। গোটা বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় জুড়ে স্পেনের এই যুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি চলতে থাকে। অনেকে গুয়ের্নিকার ঘটনাটিকে একটি পূর্ব সতর্কতা হিসাবে মনে করেন, যা শীঘ্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায় গোটা পৃথিবীকে গ্রাস করবে।
পিকাসো পরের দিন এই ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারেন। যুদ্ধের এই নৃশংসতা তাঁর ওপর প্রবল অভিঘাত সৃষ্টি করে আর তারই ফলশ্রুতি এই গুয়ের্নিকা পেন্টিং। চিত্রটি যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং বিশৃঙ্খলাকে প্রতীকায়িত করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে আঁকা এই পেন্টিংটি ছিল খুবই সময়োপযোগী এবং অত্যন্ত শক্তিশালী। চিত্রটির অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে প্রচুর আগ্রহ থাকলেও, পিকাসো বিস্তারিতভাবে কোন ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকার করেন ।
এটি প্রথম প্যারিসে ১৯৩৭ সালের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে স্পেনীয় প্যাভিলিয়নের অংশ হিসাবে প্রদর্শিত হয়েছিল। কথিত আছে সেই সময় এক জার্মান সেনানায়ক ছবিটি দেখে আঁতকে উঠে পিকাসোকে জিজ্ঞেস করে: “ You have done it?” পিকাসোর উত্তর ছিল : “ No you have done it” কারণ যুদ্ধের এই ভয়াবহতার দায় পিকাসোর নয়।
পরে স্পেনে মাদ্রিদের রেইনা সোফিয়া জাদুঘরে চিত্রকর্মটি প্রদর্শন করা হয়েছে। বর্তমানে পেইন্টিংটি শান্তি আন্দোলনে ও যুদ্ধবিরোধী প্রতীক হিসেবে UNOর স্বীকৃতি পেয়েছে ।
৫
এডভার্ড মুঞ্চ এক নরওয়েজীয় চিত্রশিল্পী। ছোট থেকেই শারীরিক অসুস্থতা ও বংশগত মানসিক রোগের শিকার ছিলেন তিনি। শিল্পকলায় শিক্ষা পেলেও নাস্তিবাদী হান্স ইয়েগারের প্রভাবে তিনি বোহেমীয় ছন্নছাড়া ভবঘুরে জীবনযাপন করা শুরু করেন। ইয়েগারো নরওয়ের লেখক, দার্শনিক এবং অসলো (তৎকালীন ক্রিস্টিয়ানিয়া)-ভিত্তিক নৈরাজ্যবাদী বোহেমিয়ান গোষ্ঠীর অংশ ছিলেন যা 'ক্রিস্টিয়ানিয়া বোহেমিয়ান' নামে পরিচিত। ইয়েগার মুঞ্চকে নিজস্ব আবেগ-অনুভূতি ও মানসিক অবস্থা চিত্রকর্মে তুলে ধরতে তাগিদ দেন (যাকে তিনি নাম দিয়েছিলেন আত্মার চিত্রকর্ম)। এখান থেকেই মুঞ্চের স্বতন্ত্র শৈলী গড়ে ওঠে।
Scream - এডভার্ড মুঞ্চ
মুঞ্চের সবচেয়ে পরিচিত ছবি এই Shriek বা Scream, যার অর্থ "আর্তনাদ"। ক্রিস্টিয়ানিয়া শহরে (বর্তমান অসলো) কার্ডবোর্ডের ওপর তেলরঙ, টেম্পারা, প্যাস্টেল ও মোমরঙের মিশ্র মাধ্যমে ১৮৯৩ সালে ছবিটি আঁকা হয়। এই পেন্টিংটির উৎস সম্পর্কে মুঞ্চে বলেন একদিন সূর্যাস্তের সময় বাইরে হাঁটতে গিয়ে তিনি দেখেন হঠাৎ অস্তগামী সূর্যের আলোয় আকাশের মেঘগুলোকে রক্তের মতো টকটকে লাল দেখাচ্ছে। আর তখনই তিনি "প্রকৃতির এক বিশাল, অন্তহীন আর্তনাদ শুনতে পান"। অনেকে মনে করেন মুঞ্চের স্মৃতিতে ক্রাকাটোয়া দ্বীপে ১৮৮৩ সালে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের স্মৃতি কাজ করেছে, কারণ সেই বিস্ফোরণের কারণে বহু সময়েই পশ্চিম গোলার্ধে বহু দূর অবধি আকাশের রঙ পালটে গাঢ় কমলা বা লাল হয়ে থাকত দীর্ঘদিন। আরেকটি মতে মেরুপ্রদেশের নেক্রিয়াস মেঘের কারণেও আকাশ এমন রঙ ধারণ করে।
মুঞ্চ বর্ণিত জায়গাটি নরওয়েতে ইকবার্গ পাহাড়ের ওপরে একটি রাস্তা যেখান থেকে নীচে তাকালে অসলো শহরটিকে দেখা যায়। এই ছবিটি আঁকার সময়ে ইকবার্গ পাহাড়ের পাদদেশে একটি মানসিক চিকিৎসালয়ে ম্যানিক ডিপ্রেশনের রোগী মুঞ্চের ছোট বোন লরা ক্যাথারিন ভর্তি ছিলেন। ফলে মুঞ্চের মনের ভেতরে বেদনার যে রক্তক্ষরণ, তারই প্রতিফলন যেন ওই লালচে আকাশ আর অব্যক্ত যন্ত্রণার প্রকাশ ওই চীৎকৃত মুখটি।
এই পেইন্টিংয়ের যন্ত্রণাদায়ক মুখটির সঙ্গে মিশরীয় মমিদের তুলনাও করা হয়। ছবির মুখের অভিব্যক্তিতে যে "আতঙ্ক" ফুটে উঠেছে, তা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় ডিপার্সোনাইলেজশন ডিসঅর্ডার জনিত মানসিক ব্যাধির লক্ষণ যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করে, এমনকী পারিপার্শ্বিক পরিবেশকেও তার বিকৃত মনে হতে পারে। তাই বৃহৎ অর্থে এই মুখটিকে মানুষের উদ্বেগের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। এই চিত্রটি আধুনিক জীবনে মানুষের অবস্থা ও দুশ্চিন্তার (অ্যাংজাইটি) প্রতীকও হয়ে উঠেছে। ছবির যন্ত্রণাকাতর মুখকে মানবের মনের অবচেতনের "আতঙ্কের" বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও গণ্য করা হয়।
নাৎসিদের দখলে থাকা ইউরোপে মুঞ্চের বেশিরভাগ শিল্পকর্ম নিষিদ্ধ করা হলেও বর্তমানে এই ছবিটি অসলোর ন্যাশনাল মিউজিয়াম অ্যান্ড মুঞ্চ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে।
৬
কলাকৈবল্যবাদে বিশ্বাসী লেখক শিল্পীরা দেশ-কাল-সমাজ বিস্মৃত সৃজনে বিশ্বাসী৷ কিন্তু সাধারণ ভাবে যে কোনো শিল্পীই সংবেদনশীল হন। তাই পারিপার্শ্বিকের অভিঘাত হয়ত তাঁদের মননে অনেক বেশি আঘাত করে আর তা থেকে সৃজন হয় যে শিল্পের, তার মধ্যে বিধৃত থাকে সময়, সমাজ, পরিস্থিতি এবং অবশ্যই মনের সেসময়ের অনুভব। তাই পিকাসোর ছবিতে এসেছে যুদ্ধের বীভৎসতার অভিঘাত, রদ্যাঁ প্রকাশ করেছেন অসহায় মানুষের সর্বকালীন যন্ত্রণা, আর মুঞ্চের ছবিতে এসেছে আধুনিক জীবনের বিড়ম্বনার মর্মান্তিক প্রতিচ্ছবি।
ঠিক এই প্রেক্ষিতেই ফিরে যাওয়া যাক অসিত সাঁইয়ের ভাস্কর্যের কাছে। অসুন্দর একটি হাঁ করা নারীমুখে যে অব্যক্ত যন্ত্রণা ফুটে উঠেছে তার উৎসে রয়েছে মৃত্যুর আগে হাসপাতালে মৃত মেয়েটির ওপর পৈশাচিক অত্যাচারে তার গলার কার্টিলেজ ভেঙে যাওয়া, চোখ ফেটে রক্ত বের হবার বীভৎস বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। মুঞ্চের মানসিক রোগী বোন চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে মেয়েটির ওপর এ হেন অত্যাচারও তো বিকৃত মানসিকতারই পরিচায়ক। পার্থক্য এটাই যে এখানে এই বিকৃতির চিকিৎসার কোনো অবকাশ আজো এলোনা।
তাই উৎসবের এই মরশুমে দেবীর বোধনের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির আপনজন, বন্ধু, সহকর্মী, শিক্ষক আর সাধারণ মানুষ আরো একটি বোধন করেছেন --- বিদ্রোহের বোধন, যার অকালবোধন হয়েছে পুজোর অনেক আগেই। মেয়েটি আজ আর নেই, দেবীরও বিসর্জন হবে দশমীর পরে। কিন্তু এই বিদ্রোহের বিসর্জন হওয়ার নয় কারণ মূর্তিটি ক্রাই অফ দ্য আর (cry of the hour), এই সময়ের আর্তনাদ --- যে সময়ে ভদ্রবেশি বিকৃত মানসিকতার অপরাধীরা খুন করে, প্রমাণ লোপাট করে সমাজে ঘুরে বেড়ায়। সময় আর সমাজই এই মূর্তির স্রষ্টা। তাই আজ আর সাজানো সুন্দরের আবাহন নয়, বরং স্বতস্ফুর্ত অসুন্দরের আবাহনে ওই মূর্তির মতোই সংবেদনশীল মানুষের কন্ঠ চিরে উঠে আসুক ওয়ার ক্রাই – যুদ্ধহুঙ্কার এই গলাপচা নরকতুল্য সমাজকে বদলে দেবার জন্যে, যাতে আগামী কোনো সময়ে মুক্ত ও শুদ্ধ কোনো এক সমাজের ছবি কী ভাস্কর্য নির্মাণ করতে পারেন সেদিনের শিল্পীরা।
15 October, 2024
একটি স্থাপত্যের সূত্রে শিল্পের এই পরিক্রমা, আমাদের মনে করিয়ে দিলো যে, আসলে সময়ের পালাবদলের ইতিহাস মূলত: অত্যাচার আর দম্ভের, শোষণ আর নির্লজ্জতার ইতিহাস। গুয়ের্নিকার মতোই আমরা আবার একটি আক্রমণ ও মৃত্যুর অনিবার্য পরম্পরা দেখবো ভেবে ভয় ও পাচ্ছি, তবে এই লেখাটা খুব জরুরী লেখা কারণ শিল্পের মধ্য দিয়ে কষ্টের, যন্ত্রণার ঐতিহ্য কিভাবে বেঁচে থাকে, চন্দ্রমল্লী প্রমাণ দিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। খুব নাড়া দিলো ভিতর থেকে,তাই এতো দীর্ঘ একটি মন্তব্য করতেই হলো।
15 October, 2024
এই স্থাপত্যের মধ্যে দিয়ে একটি যন্ত্রণা কাতর ডাক্তার মেয়ের মৃত্যুর আগের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আর্তনাদ প্রকাশ পেয়েছে শুধু নয়, একটা সমাজের বীভৎসতার ছবি, একটা দুঃসময়ের অধ্যায় কে তুলে ধরা হয়েছে. শিল্পের সার্থকতা তো এখানেই,,,, কিন্তু মানুষ অহং ও ক্ষমতার বলে একটা কাজ করার পর সব কিছু ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলতে চায়, কিন্তু যখন সেটা করতে গিয়ে দাঁত নখ বেরিয়ে পড়ে তখন শিল্পের দোষ হয়, হয় শিল্পীর দোষ,,,,আসলে শিল্পী যে তাঁর শিল্পের মধ্যে দিয়ে সেই সময় টাকে ধরে রাখলেন চিরস্থায়ী করে সেটা মেনে নিতে কষ্ট হয় এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের,,,এখানেই মনে হয় শিল্পের জয়. চন্দ্রমল্লি কে অনেক ভালোবাসা ও অভিনন্দন এই স্থাপত্যের এত সুন্দর করে বিশ্লেষণ করার জন্য.