৩২
বিখ্যাত তৈলচিত্র
শহরতলি গাছপাকা পুকুর
কতো দর্শক যে তার কলিজার পাথরভাঙাটি দেখতে!
এমনকী কেউ কেউ কিনতেও চায় চাঁদপসরের রাত
ঠারেঠোরে জানতে চায়
দাম কতো? পাঁচ শত প্রজাপতি?
ময়ূরকন্ঠ নদ? নাকি বিলাবল?
বাঁকা হেসে চাঁদের মালিক বলে
দরদাম করে লাভ নেই কোনো
চাঁদ আমার ওষ্ঠ থেকে জন্মানো
নিঠুর নিখুঁতি
মুখপুড়িকে বেচবো না কখনো
৩৩
ডাইনিং টেবিলের চাঁদটি যেন হাঁসের ডিম
বাইরে সাদাটে প্রোটিনতত্ত্ব ! অন্দরে দিওয়ানা
কুসুমতাড়িত মোহিনী! অ্যালবুমিন-হাসিনা
দুষ্টু স্বরে এমন চোখ মারে! ফেরানো যায় না।
কখন যে
হস্তান্তরিত হবে চর্বিফুটন্ত যুবতীর মালিকানা
ভেবে ভেবে জিভ আর দাঁতের ঘুম আসে না
৩৪
চাঁদের সাদা এলাকা স্বঘোষিত প্রয়াগ, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে গাজনঋতু
দেখতে লম্বাটে তাগড়া! জোয়ান দৃষ্টি, মাথায় বিরহফেট্টি
নিজের পায়ে উড়তে সক্ষম,তাম্রলিপ্তরং হাসি তার বর্ষাকালীন বন্দর
লালগুচ্ছ তার অন্তরের গ্রীষ্মকালীন গল্প!
কালো অংশটি? রহস্যময়ী মোমবাতি! শিয়র থেকে পা অবধি আঁধি আর আলেয়া
হাতদুটিতে জড়ানো নোনা দস্তানা, মাঝেমাঝে তোড়ে রাহুশনির অন্তরদশা
চোখের খাদ ভুরুর গর্ত
শূদ্রনদীরা হয়রান, প্রায়ই লবনাক্ত।
কারোর বাপের সাধ্যি নেই যে কালো এলাকায় লালরঙের গল্পফুল ফোটায়
৩৫
ও চাঁদঠাকুর!
ভুল আর পাপড়ির সুদকষা অংকটা একটু ঠিক করে দাও।
মলিবউদির বাগানে আজ চারখানা নীলজবা, কাল যেন আমার আকাশে ফুটফুটে ধ্রুবতারা
একটা নদীলেখা কাঁথাশাড়ি এবার পুজোতে প্লিজ
এবছর তো লবডঙ্কা! আসছে বছর শিলং পাহাড় পাইন বন আর এক গুচ্ছ বাংলাঅক্ষর
বন্ধুতা চাই বিলাবল রাগ আর এস্রাজগীতির। দেবে হাতেখড়ি?
রঙিন চকে আঁকা গন্ধরাজ পাখি! সারাদিন যে আমাকে প্রজাপতির খাঁচায় বন্দী করে রাখবে! দেবে?