ডুয়ার্স - ১৯৬৭
সন্ধ্যা নামতেই কুলি লাইনে ফিকে কালো মেঘের মত অন্ধকার ছেয়ে এলো। লাইন থেকে একটু দূরেই আসাম-তিনশুকিয়া মেল মিটারগেজ লাইন বেয়ে জানালা দিয়ে আলো ছিটিয়ে চলে যাচ্ছে। মদেশিয়া বঁধূরা তাদের ঘরে ঘরে কুপি আর হ্যারিকেন জ্বেলেছে, এসবের আলোয় উঠোনে অন্ধকার নাচছে। কুলি লাইনের বাইরে এসে দাঁড়ালেই দেখা যাবে, দূরে, বড় সাহেবের কুঠি আলোয় সেজে উঠেছে। আরেকটু দূরে বাবুদের কোয়ার্টারেও বিদ্যুতের আলো জ্বলেছে, তবে সে আলো একটু নিস্প্রভ। মাদলের বোল বাতাসে, মাতাল আকাশ নাচছে মদেশিয়াদের সঙ্গে। অর্চি বোঝে আকাশকে নিয়ে বাড়ি ফেরা দুরাশা। সে কী একাই রওনা হবে তবে। সীতারাম এইসময় এগিয়ে আসে, আমি তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেবো অর্চি বাবু। সুনীল উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। সীতারাম বলল, আকাশবাবু ফিরবে না বলেছে, লাইনেই থাকবে। সুনীল বললেন, অর্চি ভেতরে যাও, এই বলে তিনি সীতারামের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলেন। আকাশের বৃত্তান্ত শুনলেন, আগামীকালের অফিসের কাজ নিয়েও কথা বললেন।
অর্চি ভেবেছিল, কাজলদির অনুরোধ সে রাখবে। কুলি লাইনে মৈয়াদের বাড়িতে কাজলদিকে দেখে ফেলার কাহিনী সে কাউকে বলবে না। বলেওনি সে। কিন্তু কাজলদির গোপনীয়তা গোপন আর রইলো না, তা ছড়িয়ে গেল আগুনের মত সবখানে, ‘এ কী হল’ রব ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত গতিতে। ডুয়ার্সে মদেশিয়ারা সে সময়ে অত্যন্ত বিনীত ও অনুগত উপজাতি হিসেবে পরিচিত ছিল। এসব ছাড়াও তারা ছিল অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু। চা বাগান পত্তনের সময়ে তাঁদের তাই সাঁওতালপরগনার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ডুয়ার্সে নিয়ে আসা হয়েছিল। আড়কাঠিরা দুর্ভিক্ষ পীড়িত সাঁওতালপরগনার মানুষদের স্বপ্ল দেখিয়েছিল এক কল্প জগতের, যেখানে পরিশ্রম নেই - বদলে আছে অনেক আয় । চা বাগানের পত্তন তো শুরু হয়েছিল আসামে। সেখানে যে নির্যাতন মদেশিয়ারা সয়েছিল তা বর্ণনাতীত। এই অমানুষিক অত্যাচারের কাহিনী গোপন থাকেনি, কাগজ পত্রে তা প্রকাশ পেয়েছিল। তাই তুলনায় অত্যাচার কিছুটা হলেও কম সইতে হয়েছিল ডুয়ার্সের মদেশিয়াদের। তবু সে ছিল এক ভয়াবহ কাহিনী। একে তো শ্বাপদ সংকুল গভীর বন সাফাই এর কাজ, তার উপর ভয়ংকর কালাজ্বরের প্রকোপ। প্রচুর মানুষ ডুয়ার্সে চা বাগান পত্তনের সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিন্তু সামাজিক মর্যাদা বলতে তাদের কিছুই ছিল না। তারা মানুষ নয়, চা বাগানের কুলি। এককালে তাদের উপর চাবুক চালানো যেত, মদেশিয়া মেয়েদের সাহেবের কুঠিতে আসতে বাধ্য করা যেত। এখন সে অবস্থা না থাকলেও কুলি মানে এখনও বর্বর উপজাতি তারা।
এ হেন এক মদেশিয়া যুবকের সঙ্গে পুতুলদি পালিয়ে গেল এক রাত্রে। যুবকটিকে অর্চি চেনে। তাদের থেকে স্কুলে অনেক সিনিয়র ছিল সে। অর্চিরা যখন হাইস্কুলে প্রবেশ করে, তখন সে স্কুলের শেষ পরীক্ষা দিচ্ছে মিশনারি স্কুল থেকে। শুক্রার বাবা ছিল চা বাগানের শ্রমিকদের সর্দার। সে সময় একটু সচেতন শ্রমিকদের অভিবাবকেরা ছেলেদের বাংলা মাধ্যমে স্কুলে ভর্তি করাতেন। হিন্দি মাধ্যমের প্রাথমিক স্কুল তখন সে ভাবে গজিয়ে ওঠেনি। অর্চিদের চা বাগানের স্কুলটির ছিল খড়ে ছাওয়া চাল, মাটির মেঝে আর কাঠের জানালা দরজা। ঘরের মাঝখানে কোন পার্টিসন, ছিল না কিন্তু সামাজিক ব্যবধান সুস্পষ্ট করতে একদিকে বসত বাবুদের ছেলেমেয়েরা, অন্যদিকে মদেশিয়া ছেলেরা। সে সময়ে মদেশিয়া মেয়েদের স্কুলে আসতে দেখা যেত না। শুক্রা ক্লাস এইট অব্দি পড়ার পর, দমনপুরের একটি খ্রিষ্টান স্কুল তাকে তাদের স্কুলে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে সে হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে। সেই সুবাদে এবং উপজাতি হবার কারণে সে সহজেই ফরেস্ট বিভাগে ফরেস্ট-গার্ডের চাকরিতে বহাল হয়। শুক্রা ছেলে হিসেবে মন্দ ছিল না। মুখখানিতে শ্রী ছিল। কিন্তু তা বলে তার এতটা সাহস হবে? একজন প্রতিষ্ঠিত বাঙালি ঘরের মেয়েকে নিয়ে সে পালায় কী করে? অর্চি এদিকে আশ্চর্য হয় পুতুলদির সাহস দেখে। লুকিয়ে সে লেবার লাইনে যেত। গভীর রাত্রে বাড়ি থেকে বের হয়ে ট্রেন ধরে শুক্রার সঙ্গে চলে যাওয়া কী মুখের কথা? বড়রা সকলে ভাবে মেয়ের জন্যে সামাজিক মর্যাদার যে ক্ষতি হল পুতুলের বাবার তার যোগ্য উত্তর তিনি দেবেন। থানা পুলিশ করে অথবা অন্য উপায়ে মেয়েকে বাড়িতে ফেরত আনা তার কাছে খুব কঠিন কাজ হবে না। অন্যদিকে চা বাগানের কর্তৃপক্ষকে বলে তিনি শুক্রার বাবার চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু করবেন। কিন্তু পুতুলদির বাবা সকলকে আশ্চর্য করে দিয়ে শান্ত হয়েই সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি এবং তার পরিবার পুতুলদির সঙ্গে আর যোগাযোগ রখবেন না। তার কন্যা যে জীবন বেছে নিয়েছে তার দায় তাকেই নিতে হবেো।
একদিন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কড়া নাড়ার শব্দ শোনা গেল। চা বাগানে ১১টা বেজে গেলেই গভীর রাত। বাড়ির সকলেই এই শীতে লেপ- কম্বলের তলায়। দরজা খুলে দেখা গেল হাতে একটা বড়ো কাতল মাছ ঝুলিয়ে অর্চির ছোট মামা এসেছেন। সে মাছটা মমতার হাতে দিয়ে বলল, ধর দিদি।
- এতো রাতে তুই?
- রাত?
সুনীল শ্যালকের সঙ্গে ঠাট্টা করে বলেন ,
- নানা রাত কোথায়? এইতো সন্ধ্যা হলো সবে।
- মালগাড়ি নিয়ে যাচ্ছি, সাইড লাইনে রাখা আছে ট্রেন। কাল ভোরের আগে ছাড়বেনা । চলে এলাম তাই।
মমতা বলেন, তোর সাহস বটে দীপ্তি, এই রাতে চা বাগান জঙ্গল ডিঙিয়ে এলি?
দীপ্তি শুধু হাসে, মুখে বলে না কিছু।
অর্চির ছোটমামা ট্রেন চালক। দীর্ঘ মানুষটি, শরীরে চর্বি জমেনি কোনখানে, এককালে বেশ ফর্সা ছিলেন বোঝা যায়, এখন রঙ পুড়েছে। ব্যাক ব্রাশ চুল, থাকেন আলিপুরদুয়ার। উত্তরবঙ্গের রেল এবং আলিপুরদুয়ার শহরে তার প্রতিপত্তি খুব। এই কারণে শিলিগুড়ি থেকে গৌহাটি অব্দি রেলপথে তার আত্মীয় স্বজন কেউ টিকিট কেটে সফর করলে দীপ্তিকে অসম্মান করা হয়। এই নিয়ে অনেক মজার কাহিনী রয়েছে। একবার তো অর্চিদের এক দিদি বিয়ের পর জামাইবাবু সহ ডুয়ার্স বেড়াতে এসেছেন। জয়ন্তী, ভুটানঘাট, ফুন্টশলিং, জলদাপাড়া ঘুরে তারা শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতা ফিরবেন। দীপ্তি বলল, আমি তোদের ফার্স্ট ক্লাসে নিয়ে যাবো। দিদিরা বললো আমরা কিন্তু টিকিট কেটে যাবো। আরে আমি থাকবো তোদের সঙ্গে, ভাবনা কী? অভয় পেয়ে তারা রাজি হলো। এবারে ট্রেন এলে নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে ফার্স্ট ক্লাস চাপা হল। দীপ্তিও উঠলেন ট্রেনে। ট্রেন ঠিক ছাড়ার মুহূর্তে দীপ্তি ট্রেন থেকে নেমে পড়লেন। জানালা দিয়ে বলে গেলেন রায়কে বলা আছে তোদের পৌঁছে দেবে। তারপর ফার্স্ট ক্লাসের দুই যাত্রি সারা পথ কাঁটা হয়ে বসে রইল, এই বুঝি টিকিট চেকার আসে। এন.জে.পি-তে নামার পর, যাকে সারা পথ দেখা যায়নি, সেই কর এলেন একগাল হাসি নিয়ে এবং নিজে তাঁদের স্টেশনের গেট পার করিয়ে দিলেন।
মমতা এই রাতে আর উঠোন ডিঙিয়ে রান্নাঘরে গেলেন না। বড় ঘরের বারান্দায় স্টোভ জ্বালিয়ে ভাত বসিয়ে দেন। দীপ্তির আনা মাছটিই রাঁধা হয়। বাড়ির সকলের খাওয়া তো হয়ে গিয়েছিল, তবু মমতা সুনীল, দেবু, ভানু সহ সকলকে মাছ ভাজা পরিবেশন করলেন। শুতে যাবার আগে দীপ্তি বলে, দিদি অর্চির তো ছুটি এখন, ওকে নিয়ে যাবো কাল।
ভোর পাঁচটায় অর্চিকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনে রওনা হল দীপ্তি। তখনও রাত্রি শেষ হয়নি চা বাগানের এই দূর ভূমিতে। সূর্যের আলো সেখানে তখনও পৌঁছায়নি বলে শুধু নয়, সভ্য জীবনের সব কিছুই তো দূরে। বাবুদের বাসাগুলিতে কম পাওয়ারের বালব্ ঝোলে বটে, কিন্তু তাতে অন্ধকার কতটুকু দূর হয়? চা বাগানে ঘেরা অঞ্চল এবং চা বাগানের ভেতর দিয়ে মূল পথগুলিও অন্ধকার, বাতি জ্বলে না। শীতবস্ত্র অর্চি যথেষ্টই পরেছে, ঠান্ডা তাই আর কোথাও সুবিধে করতে না পেরে হাতের আঙুলে কামড় বসাচ্ছে। হাত দুটি সে কোটের পকেটে ঢুকিয়ে নেয়। তবু তো আজ হাওয়া বইছে না, হাওয়া আজ ক্লান্ত গমন। রাস্তার দুপাশে চা বাগানগুলি যেন অন্ধকারে গুঁড়ি মেরে বসে থাকা ঝুপড়ি ছায়া গাছগুলির তলে উপচ্ছায়া। শুধু সাদা নুড়ি পাথর ফেলা রাস্তা ক্ষীণকায় একফালি তরমুজের মত চাঁদের অনুগ্র আলোয় ফিকে হাসছে। আকাশের এককোণে নমিত চাঁদের রাত পাহারার শেষ লগ্ন সমাগত, আকাশময় তারারা টিপ টিপ করছে। মামা ভাগ্নের পদভারে নুড়িরা চর চর শব্দ তুলছে, দূরের রেল স্টেশনের আলো ক্রমশ নিকটে আসছে।
স্টেশনে পৌঁছে দীপ্তি একবার স্টেশনমাস্টারের ঘরে যায়, অর্চি দাঁড়িয়ে থাকে বারান্দায়। বারান্দার এক পাশে যাত্রীদের বসার জন্য কতগুলি সিমেন্টের তৈরি লাল রঙের বেঞ্চ। আরেকদিকে মালপত্র ওজন করার একটি যন্ত্র রাখা। একটি ডাক বাক্সও দেওয়ালে ঝুলছে। এই স্টেশনে বাঁধানো কোন প্যাল্টফর্ম নেই। পাথর বিছানো আছে রেল লাইনের সামনে। পেছনের দিকের লাইনে মাল-গুদামের সামনে একটি বিশাল মালগাড়ি দাঁড়িয়ে। দীপ্তি অর্চিকে নিয়ে সে গাড়ির ইঞ্জিনের দিকে এগোয়। ইঞ্জিন থেকে খাড়া নিচের দিকে নামা সিঁড়ি দিয়ে তারা ইঞ্জিনে ওঠে। সেখানে আরেকজন মানুষ তাদেরকে স্বাগত জানায়, দীপ্তির সহ চালক - ডেরেক। ইঞ্জিনের জানালায় একটা গদি মোরা টুলে সবুজ ফ্লাগ নিয়ে ডেরেক বসলেন, দীপ্তি স্টার্ট করলো ইঞ্জিন। ইঞ্জিন সংলগ্ন বগিগুলি হঠাৎ ঝাকি খেয়ে সশব্দে নড়ে উঠলো আর অত্যন্ত অনিচ্ছায় যেন চাকাগুলি গড়াতে শুরু করলো। ইতিমধ্যে পূর্ব আকাশ লাল হচ্ছে। ডানদিকে পিচ রাস্তা আর চা বাগান রেখে ট্রেন চলছে। গাড়োপাড়া নামে একটি স্টেশন খুব ধীর গতিতে পার হবার পর শুরু হল জঙ্গল। ট্রেন এবার দ্রুত ছুটছে, বিরাট বিরাট গাছ-পালা, ঝোপ-লতা, পরগাছা নিয়ে সবুজ-কালোর মিছিল অতি দ্রুত দৌড়াচ্ছে। কোথাও রোদ কোথাও ছায়া পালা করে সরে সরে যায়। মাঝে মাঝে বন ভেদ করে বনপথ একেবেঁকে কোন গহনে হারিয়ে যাচ্ছে। অর্চি ভাবে তার ক্লাসের প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে এই পথ দিয়ে যদি এডভেঞ্চারে যাওয়া যেত। একসময়য় দীপ্তি বলে, বাইরে লক্ষ্য রাখ অর্চি। হরিণ, ময়ূরের দেখা পাবি। কিছুক্ষণ পরে ট্রেন ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে শেষে একেবারেই থেমে গেল। গহন-বনে ঘন ঘন হুইসেল দিচ্ছে ট্রেন। দীপ্তি বলল, অর্চি দরজা দিয়ে সামনে ঝুঁকে দেখ। অর্চি ঝুঁকে দেখে, অনেকগুলি কালো পাহাড় আয়েসে রেল লাইন পার হয়ে যাচ্ছে। হাতির পাল, পেছনে আবার দু’তিনটে বাচ্চা। অর্চির আজকের যাত্রা সার্থক। একে ট্রেনের ইঞ্জিন চেপে যাওয়া, তার উপর জঙ্গলে হস্তি দর্শন। এ অভিজ্ঞতা তার বন্ধুদের কারোর নেই।
আলিপুরদুয়ার জংশনে নেমে দীপ্তি বলল, আমার এখানে কিছু কাজ আছে, তুই বাড়ি চলে যা। অর্চি এর আগে একা কখনও মামা বাড়ি যায়নি, সে খুব ঘাবড়ে যায়। দীপ্তি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বলে, দাঁড়া গাড়ি ডেকে দিচ্ছি। দীপ্তি হাঁক দিতেই একজন রিক্সাওয়ালা রিক্সা নিয়ে ছুটে আসে। এই আমার ভাগ্নে, একে বাড়ি পৌঁছে দে। নির্দেশ পেয়ে রিক্সাওয়ালাটি বলে, উঠে এসো ছোটবাবু। অর্চি তার ছোট ব্যাগটি নিয়ে রিক্সায় বসতেই রিক্সা ছেড়ে দেয়। স্টেশন চত্বর পেরিয়ে শহরের বড় রাস্তায়ে এসে পড়ে রিক্সা।
29 January, 2025
বাঃ, রচনা শৈলী প্রশংসার যোগ্য - যেন এক ভাষার নিগূঢ় বন্ধনে চা বাগিচার প্রতিচ্ছবি - এগিয়ে যাও
29 January, 2025
দীপু মামু ভীষণ ভাবে স্মৃতিতে এসে গেল ।তোর লেখাটি এ টি মেলের মতো দুধারের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখাতে দেখাতে নিয়ে চললো।
31 January, 2025
এ যেন হাত ধরে দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে নিয়ে যাওয়া। বরাবরের মতো মান বজায় রেখেছে অপূর্ব। শুধু মাঝেমাঝে মনে হয় আর একটু হলে ভাল হত। মানে আর একটু এগিয়ে- যেমন আলিপুরদুয়ারে অর্চি কি দেখল...